১০০ বছরের বেশি আগে প্রথম বিমান ওড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতিটি বিমান প্রপেলার, টার্বাইন ব্লেড এবং ফ্যান ব্যবহার করে আসছে। সেগুলি জ্বালানি তেল অথবা ব্যাটারির সাহায্যে চলে। এই প্রথমবার উড়োজাহাজ নির্মাণে এল বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজির ইঞ্জিনিয়াররা এমন একটি হালকা বিমান বানিয়েছেন যাতে প্রপেলার বা টার্বাইন নেই। জ্বালানি তেলও লাগে না। সেই প্লেন যার সাহায্যে চলে তার নাম ‘আয়োনিক উইন্ড’। অর্থাৎ আয়ন কণার অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে কাজে লাগিয়ে সেই বিমান চালানো হয়।
এমআইটির অ্যারোনটিকস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর স্টিভন বেরেট বলেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামী দিনে যে বিমান তৈরি হবে, তাতে দূষণ ছড়াবে না। তার প্রযুক্তিও হবে অনেক সরল। আপাতত ওই প্রযুক্তি ড্রোন বিমান তৈরিতে কাজে লাগানো যেতে পারে। আগামী দিনে পুরানোর সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে যাত্রীবাহী বিমান তৈরি হবে তাতে আগের চেয়ে জ্বালানি লাগবে কম।
বেরেট জানিয়েছেন, ছোটবেলায় টিভিতে স্টার ট্রেক সিরিয়ালে দেখেছিলেন একরকম খুব হালকা মহাকাশযান সহজে ভেসে যাচ্ছে। তা ছিল কল্পনা। কিন্তু বেরেট ভাবতেন, বাস্তবে কি ওই ধরনের প্লেন বানানো যায়? বছর ন’য়েক আগে তিনি জ্বালানি বিহীন বিমানের নকশা আঁকতে শুরু করেন। তখনই তিনি আয়োনিক উইন্ড ব্যবহারের কথা ভাবেন।
অনেক চিন্তাভাবনার পরে শেষ পর্যন্ত বেরেট ও তাঁর সহকর্মীরা নতুন ধরনের বিমানের যে নকশা বানান, তা দেখতে গ্লাইডারের মতো। তাতে রয়েছে অনেকগুলি সরু ও মোটা তার। সরু তারগুলি পজেটিভলি চার্জড ইলেকট্রোডের কাজ করে। মোটা তারগুলি নেগেটিভলি চার্জড ইলেকট্রোড।
ব্যারেট ও তাঁর সহকর্মীরা এখন চেষ্টা করছেন যাতে বিমানের নকশা আরও উন্নত করা যায়। আরও কম ভোল্টেজে বেশি আয়ন উৎপন্ন করা যায়।
Be the first to comment