ভোটের মধ্যপ্রদেশে প্রচার তুঙ্গে। শুক্রবার ভোপালে চলছিল প্রতিরক্ষমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সাংবাদিক বৈঠক। সেই সময়ই এক মহিলা সাংবাদিকের কয়েক সেকেন্ডের “ব্যঙ্গ” কানে চলে আসে মন্ত্রীর। হিন্দিতে করা সেই “ব্যঙ্গ” বুঝে যান সীতারমন । মুহূর্তে সাংবাদিককে মন্ত্রীর পাল্টা জবাব, “হিন্দিটা আমি বুঝি।”
শুক্রবার সার্জিকাল স্ট্রাইককে সামনে রেখে ভোটের প্রচার করছিলেন সীতারমন। কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় সেনা সেই কথাই জানাচ্ছিলেন। হঠাৎ মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্ন, ” কেন বিজেপির ভোট প্রচারে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ সাপের বিনে পরিণত হয়েছে, শুধু বেজেই চলেছে।” প্রশ্নটা করেই চুপ করে যান ওই সাংবাদিক। তবে কানে চলে আসে মন্ত্রীর। তিনি জবাব দেন, ” হিন্দিটা বুঝি আমি, সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে, তবে এই ব্যঙ্গ আসলে লজ্জার। দেশের নাগরিক হয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে ঠাট্টা কেন করছেন।”
থেমে থাকেননি মন্ত্রী। ঠাট্টার প্রতিবাদ করেছেন তীব্র ভাবে। তাঁর দাবি, “সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত। সেনাদের অবদান ভোলা উচিত নয়। আপনাদের ঠাট্টায় আমি আঘাত পেলাম।”
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সীমান্তে ঢুকে জঙ্গিদের শিবির গুড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশে সার্জিকাল স্ট্রাইক চলে, জঙ্গিদেরও নিকেশ করা হয়। এরপরই সার্জিকাল স্ট্রাইক বিজেপির সবচেয়ে বড় প্রচারের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালেও মধ্যপ্রদেশের ভোট প্রচারে বার বার উঠে এসেছে সার্জিকাল স্ট্রাইক। সীতারমন জানাচ্ছেন, “কংগ্রেস যা পারেনি, আমরা তা পেরেছি। দেশবাসীর সেটা জানা উচিত।আমরা চাই সার্জিকাল স্ট্রাইক সম্পর্কে দেশবাসী জানুক।সেই নিয়ে ব্যঙ্গ কোনওভাবেই কাম্য নয় । ”
ব্যঙ্গ করা সেই মহিলা সাংবাদিকের নাম জানা যায়নি। তবে, তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট, ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক সেনার গোপন আপারেশন। সেটা প্রকাশ্যে এনে প্রচার করার অর্থ কী।’ সেই প্রশ্ন যদিও এড়িয়ে যান সীতারমন।
Be the first to comment