স্কার্টের নীচে লুকিয়ে ছবি তুললেই কিন্তু হতে পারে হাজতবাস; পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love
স্কার্টের নীচে লুকিয়ে ছবি তুললেই কিন্তু হতে পারে হাজতবাস? মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানাও দিতে হতে পারে৷ আপস্কার্টিং এখন কিন্তু ছোটখাটো অপরাধ নয়, বেশ কড়া আইন আসতে চলেছে এর বিরুদ্ধে৷ ইংল্যান্ডে আপস্কার্টিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন যে তরুণী তাঁর নাম জিনা মার্টিন৷
বিশ্ব জুড়ে চলা #মিটু আন্দোলনই তাঁর লড়াই করার প্রেরণা৷ মহিলাদের উপর ঘটে চলা হেনস্থার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বছর সাতাশের এই তরুণী৷ নিজের সঙ্গে ঘটা এক তিক্ত অভিজ্ঞতাকে বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ দিয়েছেন জিনা৷ লন্ডনের এই তরণীই এখন খবরের শিরোনামে৷ জিনা জানিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা৷ তাঁর লড়াইটা শুরু হয় ২০১৭ সালে ৮ জুলাই৷ লন্ডনের হাইড পার্কে ব্রিটিশ সামার মিউজিক ফেস্টিভাল শুনতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন জিনা৷ কনসার্ট শুরু আগে নিজের দিদির সঙ্গে টিকিটের লাইনে দাঁড়িযে ছিলেন তিনি৷ সে সময় দুই ব্রিটিশ যুবক সেখানে হাজির হয়ে তাঁদের চিপস অফার করে৷ জিনা খান কতক চিপস নিলে, তাঁর সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয় ওই যুবকরা৷ তরুণী জানিয়েছেন, কথার ফাঁকেই তিনি লক্ষ্য করেন যুবকদের চোখ তাঁর শরীরের আনাচ কানাচে ঘুরছে৷ মাঝে মাঝে নানা অশ্লীল মন্তব্যও তারা করছে৷
কনসার্ট শুরু হওয়ার পরে কোনও এক ফাঁকে জিনার অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে একজন তাঁর স্কার্টের নীচে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলে৷ জিনার কথায়, সেটা লক্ষ্য করেই তিনি যুবকদের মোবাইল কেড়ে নেন ও পরে সেটা পুলিশকে দেখান৷ তরুণীর দাবি, পুলিশ শুধুমাত্র ছবিটা ডিলিট করে দেয় এবং যুবকদের মৃদু ধমক দিয়ে বিদায় করে৷ আপস্কার্টিংও যে একরকম যৌন হেনস্থা সেটা প্রমাণ করতেই এর পর লড়াই শুরু করেন জিনা৷
অনলাইনে গ্রুপ বানিয়ে আপস্কার্টিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি৷ অনলাইনে সই যোগাড় করে নানা জায়গায় ক্যাম্পেনও করেন৷ ধীরে ধীরে তাঁর সমর্থনে দাঁড়ান আরও অনেক মহিলা৷ তরুণী জানিয়েছেন, পুরুষদের থেকেও সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি৷ তাঁর প্রতিবাদ ব্রিটিশ সংসদেও আলোচনার ঝড় তোলে৷ প্রথমে সাংসদ ক্রিস্টোফার চোপ এই বিষয়ে আইন আনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলেও, পরে দেশব্যাপী আন্দোলনের মুখে আপস্কার্টিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন আইন আনতে বাধ্য হয় টেরেসা মে’র সরকার৷ ২০০৯ সাল থেকেই স্কটল্যান্ডে আপস্কার্টিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷
জিনা বলেছেন, “লড়াই ছিল খুব কঠিন৷ অনেক বাধা পার হতে হয়েছে আমাকে৷ ধর্ষণের হুমকিও পেয়েছি, কিন্তু থেমে থাকিনি৷ নতুন আইন আমার মতো অনেক মেয়েকে ন্যায় বিচার দেবে বলেই আশা রাখি৷”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*