জলঘোলা হচ্ছিল অনেক দিন থেকেই। কর্তারপুর সাহিব করিডরে শেষ পর্যন্ত যেতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিব শহরে ইরাবতী নদীর তীরে ঐতিহাসিক গুরুদ্বার দরবার সাহিব কর্তারপুর। আগামী বছর এপ্রিলে গুরু নানকের জন্মের ৫৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এখন থেকেই উৎসবে মেতেছেন শিখ ধর্মাবলম্বীরা। অনুষ্ঠানে যেতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ-সহ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। শনিবার বিদেশমন্ত্রীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর বদলে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল এবং হরদীপ সিংহ পুরী যাবেন পাকিস্তানে।
সুষমা বলেছেন, “কুরেশিকে ধন্যবাদ। কিন্তু তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত থাকব, তাই পাকিস্তানে যাওয়া সম্ভব হবে না। পরিবর্তে আমার দুই মন্ত্রী কর্তারপুরে যাবেন।”
জনশ্রুতি রয়েছে কর্তারপুর সাহিবে জীবনের শেষ ১৮টি বছর কাটিয়েছিলেন গুরু নানক। দেশভাগের পর যা এখন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নারওয়াল জেলায়। উপাসনার জন্য প্রতি বছরই প্রচু শিখ ধর্মাবলম্বীরা সীমান্ত পেরিয়ে যান পাক-পঞ্জাবের কর্তারপুরে। তাই ভারত-পাক সীমান্তের ওই এলাকায় পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার দেরা বাবা নানক থেকে পাক-পঞ্জাবের কর্তারপুর পর্যন্ত একটি করিডর বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে পড়শি দেশের গুরুদ্বারে যেতে সুবিধা হয় দর্শনার্থীদের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিল পাস হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে করিডর তৈরির কথা ঘোষণা করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ৩-৪ কিলোমিটার বিস্তৃত করিডরটির নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব সরকারেরই।ইসলামাবাদও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছর, গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবর্ষে, আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই করিডর চালু হয়ে যাবে।
Be the first to comment