হাতে আর মাত্র তিন দিন। তারপরেই মধ্যপ্রদেশে ভাগ্যনির্ধারণ হয়ে যাবে শাসকদল বিজেপি ও বিরোধীদল কংগ্রেসের। আর তাই প্রচারের শেষ মুহূর্তে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দিচ্ছে না। আগের দিন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ রাজ্যের সব সংখ্যালঘু ভোট যাতে কংগ্রেসের পক্ষে পড়ে, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন। শনিবার তার পালটা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
সম্প্রতি এক ভিডিও প্রকাশ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে কংগ্রেস নেতা কমল নাথ মধ্যপ্রদেশের মুসলিম নেতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন, যাতে রাজ্যের অন্তত ৯০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসের পক্ষে পড়ে। এই ব্যাপারে মুসলিম নেতাদের আরও বেশি সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে পৌঁছানোর আর্জি জানান এই কংগ্রেস নেতা।
এই ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিজেপি তীব্র বিরোধিতা শুরু করে। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, ভোট টানার রাজনীতি শুরু করেছে কংগ্রেস। এর উত্তরে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের বেশিরভাগ লোককে ভোট দানে উৎসাহিত করাটা কখনওই খারাপ নয়।
এরপরেই আসরে নামেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেস নেতাদের এই সাফাই গাওয়া তাঁর পছন্দ হয়নি। শনিবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি নির্বাচনী সভায় এসে যোগী বলেন, ” আমি সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা কমল নাথের একটা বক্তব্য শুনলাম। সেখানে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের তপশিলি জাতি, উপজাতির ভোটের দরকার নেই। কংগ্রেসের শুধু দরকার সংখ্যালঘু ভোটের।”
তারপরেই তিনি বলেন, ” আপনারা আলি নিয়েই থাকুন। আমাদের বজরংবলী আছে।” অর্থাৎ কংগ্রেস যেখানে মুসলিম ভোটের কথা বলেছেন, যোগী সেখানে বললেন অ-মুসলিম ভোটের কথা। নবী মহম্মদের বংশধর আলি হলে, বজরংবলী অর্থাৎ বীর হনুমানও হিন্দুদের শৌর্যের প্রতীক। তাই এই তুলনা নিয়ে আসেন যোগী।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে এসে বারবার বলেছেন, ক্ষমতায় আসলে ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের কর মুকুব করে দেবে তাঁদের সরকার। সেই প্রসঙ্গেই এই নির্বাচনী সভা থেকে যোগী বলেন, ” রাহুল গান্ধী বারবার বলছেন, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মুকুব করে দেবেন। কিন্তু পাঞ্জাবে তাহলে কংগ্রেস কেন কিছু করছে না? সেখানে তো তাঁরা ক্ষমতায় আছেন।”
বোঝা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশে নিজেদের সরকার ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। আর দীর্ঘ ১৫ বছর পর ফের এই রাজ্য নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া কংগ্রেস। আর তাই কেউ কাউকে ছেড়ে দিচ্ছে না এক ইঞ্চি জমিও।
Be the first to comment