বিদেশ থেকে কী পরিমাণ কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে? কতজনকে দেওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ? কোনওরকম তথ্য জানাতে অস্বীকার করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। ১৬ অক্টোবর একটি আরটিআইয়ের জবাবে এই সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। ১৫ দিনের মধ্যে পিএমওকে তথ্য জানাতে বলা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকে দফতর। ২০১৪ সালের ১ জুনের পরে কী পরিমাণ কালো টাকা বিদেশ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে? জানতে চেয়ে আরটিআই করেন ‘ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসে’র অফিসার সঞ্জীব চতুর্বেদী। ১৫ লক্ষ টাকার তথ্যও জানতে চান তিনি।
সেই আরটিআইয়ের জবাবে গত বছরের আগস্টে পিএমও জানায়, এই তথ্য স্বচ্ছতা আইনের ২(এফ) ধারার মধ্যে পড়ে না। তাই প্রকাশ করা যাবে না। পরে তথ্যকমিশনেরর দ্বারস্থ হন চতুর্বেদী। এবছরের ১৬ অক্টোবর কমিশন পিএমওর যুক্তি খারিজ করে দেয়। ১৫ দিনের মধ্য কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে কতজনের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে, সেটাও প্রকাশ করতে বলা হয়। উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর পাল্টা জানায়, সিট বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। আরটিআই আইনের ৮ (১)(এইচ) ধারায় এই ধরনের পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই এখনই কালো টাকা সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না। উল্লখ্যে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কতজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই তথ্য জানতে চেয়েও আরটিআই করেন চতুর্বেদী। বলাবাহুল্য, সেটাও জানাতে অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
Be the first to comment