চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, পুলিশের মৃত্যুর চেয়ে গরুর মৃত্যুর দাম বেশি। আমি এখন আমার সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে বেশি চিন্তিত। যদিও কখনও কোনও উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করে হিন্দু না মুসলিম? সেই উত্তরও দিতে পারবে না তাঁরা। কারণ, তাঁদের কোনও ধর্মীয় শিক্ষাই দেওয়া হয়নি।’
একটি ইউটিউব ভিডিওতে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে এভাবেই নিজের মতামত জানালেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেখানে তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় সমাজে। সমাজকে এই বিষমুক্ত করা সহজ হবে না। বুলন্দশহরের ঘটনাটাই দেখুন, পুলিশের মৃত্যু ছেড়ে গরুর মৃত্যু নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে সবাই। ‘আমি যদিও কিছুটা ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েছি। কিন্তু আমার স্ত্রী রত্না সেই শিক্ষাও পায়নি। আমরা দু’জনেই মিলেই ঠিক করেছি, কোনও ধর্মীও শিক্ষা দেওয়া হবে না ছেলে মেয়েদের। মানুষ হিসেবেই বেড়ে উঠুক। কিন্ত এটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদি ধর্মান্ধরা তাঁদের ঘেরাও করে, কোনও উত্তর দিতে পারবে না ওরা। হিন্দু, মুসলিম কোনটাই বলতে শেখানো হয়নি! তাই এখন একদিকে যেমন রাগও হচ্ছে, তেমনি ওদের ভবিষ্যত নিয়ে ভয়ও পাচ্ছি’।
Be the first to comment