কুম্ভ মেলা চলাকালীন বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধের ফরমান জারি হয়েছিল আগেই। এবার কানপুর, উন্নাওয়ের মাংস ও চামড়ার কারখানা পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ যোগী সরকারের। এই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়তে চলেছেন এই দুই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় এক লাখেরও বেশি পরিবার।
উত্তরপ্রদেশ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উন্নাও, কানপুরে সব মিলিয়ে প্রায় ২৬৪টি ছোট বড় ট্যানারি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ লেদার ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাজ আলম জানান, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ট্যানারিগুলি। এই নির্দেশিকা পেটে লাথি মারার সমান। তিন লাখ শ্রমিক এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর আগেও মাংসের কারখানা বা ট্যানারি বন্ধ রাখা হত। সেটা শাহী স্নানের দিনগুলিতে। কিন্তু টানা ৩ মাস বন্ধ থাকলে, প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে। গোটা শিল্পই ধ্বংসের মুখে পড়বে। উন্নাওয়ের মাংস প্রসেসিং কারখানারগুলির অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।
যদিও পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের আঞ্চলিক অফিসার কুলদীপ মিশ্র এই নির্দেশিকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কোনও কারখানাকেই পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। শুধুমাত্র উত্পাদন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। কারণ জল নিগম পরিষদ জানিয়েছে, এসব কারখানা থেকে নির্গত জল কুম্ভ মেলা চলাকালীন শোধন করা সম্ভব হবে না।
যদিও লেদার ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাজ আলম দাবি, কারাখানার জল বাইরে ছাড়ার আগে তিনবার শোধন করা হয়। এই জলের ৮০ শতাংশই গঙ্গায় পৌছায় না। ট্রিটমেন্টের পর রায়ে বেরেলির দিকে পাঠানো হয়। সেচ দফতরের আধিকারিকরাও সেটা পরীক্ষা করে দেখেছেন।
Be the first to comment