বিজেপির সংকল্প যাত্রাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে। গোয়ালতোড়ে বিজেপির বাইক মিছিল আটকায় পুলিশ। তারপরই পুলিস ও বিজেপি কর্মীদের বচসাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোয়ালতোড় এলাকা। জানা গিয়েছে, এদিন মিছিল আটকাতেই পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়লে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন ডিএসপি অপারেশন উত্তম মিত্র। তাঁকে গোয়ালতোড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক এএসআই ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও আহত হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি এদিন বিজেপির সংকল্প যাত্রা ঘিরে অশান্তি ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনায়। থানা ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে পুলিস। কাঁচড়াপাড়াতেও একই ছবি। কাঁচড়াপাড়ার কাপমোড়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বিজেপি কর্মীদের। অন্যদিকে মিছিল বের করতে না দেওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। জিরাট রোডের উপর হরিপুরে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বারাসাতের রথতলা মোড়েও বাইক মিছিল আটকে দেয় পুলিস।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ের সামনে থেকে উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি দীনেশ পান্ডে সহ মোট ১৫ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কলকাতা থেকে মোট ৩০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে দীনেশ পান্ডের নেতৃত্বে বাইক মিছিল বের করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেইসময় কলকাতা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশকিছু বাইকও।
উল্লেখ্য, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই রবিবার একসঙ্গে বাইক র্যালি কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলো যুব মোর্চা। কলকাতার প্রায় ৫০টির বেশি জায়গা থেকে বাইক র্যালি বেরোয়।
Be the first to comment