দরিদ্র কৃষকদের চাষের খরচ জোগাতে গত ৩১ ডিসেম্বর কৃষকবন্ধু প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাটের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কয়েকজন কৃষকের হাতে চেক তুলে দিয়ে তিনি এই কৃষক-বান্ধব প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
রাজ্যের চাষিদের হাতে পৌঁছে যাবে কৃষকবন্ধুর চেক। রাজ্যের প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবারের হাতে এই চেক তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর।
এর মধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ কৃষকের নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের হাতে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে তৎপর রাজ্য সরকার।
প্রতি একর জমির জন্য রাজ্যের কৃষকরা বছরে পাঁচ হাজার টাকা সাহায্য পাবেন। আড়াই হাজার করে দু’-দফায় এই টাকা দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে আপাতত একর প্রতি আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাকি টাকাটা ছ’মাস পরে। যাঁদের এক একরের কম জমি রয়েছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে টাকা পাবেন। এছাড়াও ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী সব কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন৷ এই বয়সকালের মধ্যে কোন কৃষকের স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনীত কারণে মৃত্য হলে তার পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন৷
কৃষিমন্ত্রী ডঃ আশিষ ব্যানার্জী জানান, জমির পরিমাণ যত কম হোক না কেন, প্রথম কিস্তিতে প্রত্যেক কৃষক দু’হাজার টাকা পাচ্ছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষককে জমির পরচা এবং দলিল দেখাতে হচ্ছে। বর্গাদার অথবা পাট্টা মালিক হলেও তিনি কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সে জন্য তাঁকে বর্গা রেকর্ড অথবা পাট্টার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
ফর্ম ভরতে এবং দলিল-পরচা জোগাড় করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসে শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ভূমি-সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরাও হাজির থাকছেন।
Be the first to comment