পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে আগেই। পাক সংসদেও উঠেছে সেই প্রস্তাব কিন্তু, ইমরান খানই বলছেন, আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই। ইমরানের যুক্তি, কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে যে ব্যক্তি সীমান্ত বিতর্কের অবসান করতে পারবে এবং উপমহাদেশে শান্তি ও মানব উন্নয়নের পথ প্রশস্থ করবে তাকেই এই পুরস্কার দেওয়া উচিত। ইমরানের শান্তি ফেরানোর উদ্যোগের প্রয়াস কী তাহলে লোক দেখানো? নাকি আন্তর্জাতিক চাপেই তাঁর এই প্রয়াস? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর গত বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান চালক উইং কমান্ডর অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাকিস্তানী সেনা। জেনেভা কনভেশন মেনে ভারতীয় উইং কমান্ডরকে ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইসলামাবাদ। তারপরই পাক সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান। সীমান্তে শান্তির লক্ষ্যেই পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন ইমরান। তারপরই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি পুরস্তার দেওয়ার দাবি তোলে পাকিস্তান। প্রস্তাব জমা পড়ে পাক সংসদের সচিবালয়েও। ইমরান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন এই প্রস্তাব জমা দেন।
Be the first to comment