দেশের প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেসের ৫০ বছর উদযাপন হলো

Spread the love

রাজধানী এক্সপ্রেসের এই ৫০ বছরের যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে রবিবার হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেকসে ছিল জমজমাট আয়োজন। কামরায় ওঠার মুখে প্রতি যাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হল ফুল, অভিনন্দনপত্র। কামরার পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে বাজছে মৃদু গান। গোটা ট্রেনটি সাজানো হরেক রকম ফুলে। প্রতি কামরার রেকাবিতে গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রেলকর্মীরা। তাঁদের পরনে কালো ব্লেজার বুকে ৫০ বছর পূর্তির বিশেষ ব্যাচ।

গতকাল হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেসের ৫০ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে ঘড়িতে ঠিক ২টো বাজার কিছু আগে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরীন্দ্র রাও কেক কাটেন। শুধু ফুল ও অভিনন্দনপত্র নয়, খাবার মেনুতে ছিল ফিশফ্রাই, রসগোল্লা, সূপ, আইসক্রিম-সহ অনেক কিছু। বহুদিন আগেই মেনুতালিকা থেকে উঠে গিয়েছে ফিসফ্রাই গতকাল ৫০ বছরের পূর্তিতে ঐ দিনের জন্যই ছিল ফিসফ্রাই। এই উপলক্ষে গতকাল প্রকাশ হয় একটি ডাকটিকিটও। অনেক যাত্রীই জানতেন না যে কাল রাজধানীর জন্মদিন। প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে গোটা ব্যাপারে তাঁরা অভিভূত।

১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ গার্ড ওএস লেভি প্রথম পতাকা নেড়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক জিএল টচারকে সংকেত দিয়েছিলেন। সে-কাল পেরিয়ে এসে এদিন চালকের আসনে ছিলেন এস কেরকেট্টা এবং মহম্মদ রফিক মন্ডল। রাজধানীর গার্ডের ভূমিকায় ছিলেন অরুণকুমার দে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ৫০ বছর পূর্তিতে উপলক্ষে এই বিশেষ দিনে, সফরসাথী হওয়ার সূত্রে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়াটা তাঁদের কাছে অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সোয়ার্ন’ স্ট্যান্ডার্ডের এলএইচবি কোচ ব্যবহার শুরু হয়। এখন ২০টি এলএইচবি কোচ রয়েছে। তার মধ্যে ২টি এসি প্রথম শ্রেণী, পাঁচটি এসি দ্বিতীয় শ্রেণী, ১০টি এসি তৃতীয় শ্রেণী, একটি প্যান্ট্রি কার ও দু’টি পাওয়ার কার কাম লাগেজ ভ্যান। এখনও সবচেয়ে কম সময়ে হাওড়া থেকে দিল্লি যাওয়ার ট্রেন অবশ্যই রাজধানী। মাত্র ১৫ ঘণ্টায় এই ট্রেন প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেয়।

১৯৬৯ সালে ৯টি ভ্যাকুম ব্রেক কোচ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। তখন এই রাজধানী এক্সপ্রস ছিল সবচেয়ে অভিজাত ট্রেন। প্রথম রাজধানীর ন’টি কোচের মধ্যে ছিল দু’টি ইঞ্জিন কার, পাঁচটি এসি চেয়ার কার, একটি এসি ডাইনিং কার ও একটি এসি প্রথম শ্রেণী। পরে ধীরে ধীরে যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় হতে শুরু করে এই ট্রেন। বাড়ানো হয় কোচের সংখ্যা। আরোও আশ্চর্য হলো রাজধানী পৌঁছানের সাথে সাথেই চমকে ওঠে সেখানকার মানুষও। এত জাঁকজমকপূর্ণ ট্রেন দেখে সকলেই বেজায় খুশি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*