দুটি পদ থেকে রাজীব কুমারকে অব্যহতি দেওয়া হলো। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছর একই পদে থাকলে নির্বাচনের সময় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতোই রাজীব কুমারকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে এডিজি সিআইডি পদে বহাল করে রাজ্য সরকার। রাজীব কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবারই বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ অফিসার বলে অভিহিত করেন। এডিজির সিআইডি পদে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষ অফিসার রাজীব কুমারকে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ও ইকোনমিক অফেন্সেসের শীর্ষ পদে বসায় নবান্ন। সেই অনুযায়ী নোটিফিকেশনও জারি হয়। বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতর থেকে আরও একটি নোটিফিকেশন জারি করে আগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ও ইকোনমিক অফেন্সেসের শীর্ষ পদে বহালের নোটিশটিকে বাতিল করা হয় অর্থাৎ রাজীব কুমার এখন কেবলই সিআইডির শীর্ষ পদে রইলেন।
কিন্তু হঠাৎ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার পর কেনই বা তা রদ করা হলো? সূত্রের খবর, ইলেকশন কমিশন চাইছেনা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় সম্প্রতি চিফ ইলেক্টরাল অফিসার আরিজ আফতাবের কাছে রাজীব কুমারের এই দুই পদে বহাল হওয়া নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। মুকুলবাবুর যুক্তি ছিল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স কলকাতা পুলিশেরই একটি শাখা। তাহলে তিনি ইলেকশন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তার শীর্ষ পদে কী করে থাকে? ইকোনমিক অফেন্সেসের মাথায় থাকার কারনে নির্বাচনের সময় আর্থিক নানা বিষয়ে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পারেন। অন্যদিকে বিরোধী দল বিশেষত বিজেপিকে আর্থিক নানা বিষয়ে অসুবিধা করা হতে পারে। এরকমই যুক্তি মুকুলবাবু দিয়েছিলেন রাজ্যের সিইওকে। সূত্রের খবর, বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজীব কুমার এই দুটি পদ থেকে নিজেই অব্যাহতি চান।
Be the first to comment