রানের পাহাড়ে পৌঁছেও জঘন্য ফিল্ডিং ও কিপিংয়ের খেসারত দিতে হলো ভারতকে

Spread the love

খারাপ ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হলো টিম ইন্ডিয়াকে। পাশাপাশি সহজ ক্যাচ মিস ও স্টাম্প মিস করায় ৩৫৮ রান করেও জয় পেলো না টিম ইন্ডিয়া। অ্যাশটন টার্নারের অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৩ বল বাকি থাকতেই মোহালিতে ম্যাচ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পিটার হ্যান্ডসকম্ব করেন ১১৭। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন উসমান খোয়াজা। তিনি করেন ৯১ রান। ভারতের হয়ে তিন উইকেন নেন জসপ্রীত বুমরাহ।

রবিবার ঘাড়ের ৩৫৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১২ রানের মধ্যে দু’জন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে। তারপরেও ১৩ বল বাকি থাকতে অজিরা ৬ উইকেটে ৩৫৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় খোওয়াজা ও হ্যান্ডসকম্ব, ম্যাক্সওয়েল, টার্নারের মিলিত প্রচেষ্টায়। মোহালির ৪ উইকেটে ম্যাচ জয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরালো।

অবশ্য ম্যাচ হারের জন্য অজি ব্যাটসম্যানদের যতটা কৃতিত্ব দেওয়া যায়, ঠিক ততটাই দোষ দেওয়া যায় ভারতীয় ফিল্ডারদের। জঘন্য গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ কিছু বাড়তি রান উপহার দেওয়া ছাড়াও এক ঝাঁক ক্যাচ ফেলে ভারতীয় ফিল্ডাররা। উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে ঋষভ পন্ত ছিলেন অত্যন্ত বেমানান।

এদিন দুই ওপেনারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে রানের পাহাড়ে চড়ে ভারত। রোহিত-ধাওয়ানের ১৯৩ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। তবে অল্পের জন্য এদিন ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন রোহিত শর্মা। ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। ধাওয়ান অবশ্য কোনও ভুলচুক করেননি। ১৪৩ রানের মেগা ইনিংস খেলেন গব্বর। ১১৫ বলের ইনিংসে ১৮টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি৷ ওয়ান ডে কেরিয়ারে এটিই ধাওয়ানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। লোকেশ রাহুল ২৬ রান করেন। বিরাট কোহলি আউট হন মাত্র ৭ রান করে। ঋষভ ২৪ বলে ৩৬ ও বিজয় শঙ্কর ১৫ বলে ২৬ রানের কার্য়করী ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, ঝাই রিচার্ডসন নিয়েছেন ৮৫ রানে ৩ উইকেট।

এদিন সিরিজ়ের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধওয়ান। এদিকে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রামে রয়েছেন ধোনি। তাঁর পরিবর্তে দলে সুযোগ পান ঋষভ পন্ত। ঋষভ ছাড়াও কোহলি এদিন দলে একাধিক পরিবর্তন আনেন। পেসার শামির পরিবর্তে আসেন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে বুমরাহ-ভুবি-র পেস আক্রমণ অজিদের কোনোভাবেই চাপে ফেলতে পারেনি। সেই সঙ্গে কুলদীপ ও যুজবেন্দ্র চাহাল দু’জনেই এদিন পুরোপুরি ব্যর্থ। চাহাল দশ ওভারে ৮০ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। দশ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন কুলদীপ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*