বাংলাকে গুজরাত হতে দেব নাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

বৃহস্পতিবার বিকেলে নৈহাটি পুরসভার সামনে ধর্না কর্মসূচি থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, আমি কিন্তু ভয়ঙ্কর লোক। যদি কেউ ভাবে এই এলাকাকে মুক্তাঞ্চল বানাবে, সন্ত্রাসের উড়ন তুবড়ি বানাবে, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সময়ে এখানে এ সব ঘটেছে, তখন পুলিশ প্রশাসন মমতা ব্যানার্জির আন্ডারে ছিল না। আর কিছু নির্লজ্জ পুলিশ যা ইচ্ছে তাই করেছে। আমি কিন্তু এ সব বরদাস্ত করব না।

এ দিন ধর্নামঞ্চ থেকে মমতা আরও বলেন, বাংলায় নির্বাচন কমিশন ইলেকশনের নামে এমার্জেন্সি চালিয়েছে। আর গদ্দাররা মিলে এখানে সন্ত্রাস করেছে। চারশো বাঙালি পরিবার ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনকে বলেন, প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মমতা বলেন, আমি যখন কাল শুনলাম মেয়েদের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তখনই ভেবেছি আমার যাওয়া দরকার। না হলে আরও বড় বিপদ হয়ে যাবে।

পাশাপাশি এদিন হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূলনেত্রী বলেন, যাঁরা গদ্দারদের গ্যাস খেয়ে মেয়েদের হাত ধরে টেনেছে, তাদের ছাড়া হবে না। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না, দেব না, দেবো না। মমতা বলেন, এখানে দীনেশ দা হারেননি। মাত্র কয়েকটা ভোটে হেরেছেন। ওটাকে হারা বলে না। আমি যদি মরে না যাই, এই সিট আমি পুনরুদ্ধার করবই। ওরা বিধানসভাতে জিতবে না। কাউন্সিলরেও জিতবে না।

এছাড়াও তিন দিনের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে যে সব বাড়ি ও ক্লাব ভাঙচুর হয়েছে তার তালিকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জানালেন, সরকার গড়ে দেবে ভাঙা ক্লাব, ভাঙা বাড়ি। তবে সংঘর্ষের কারণে ভেঙে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস নতুন করে তৈরি করবে দল। এদিন মমতা বলেন, সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার করেছে গোপাল নামের একজন। সে নাকি সেবা দল করে। এরা কারা? একটা সিটে জিতে সন্ত্রাসের কারখানা গড়েছে গদ্দার। এর শেষ আমি দেখতে চাই।

বিজেপি বাঙালি-অবাঙালিদের নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, একটা অত্যাচার যদি দেখি এখানে, আমি পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব। আমি বিভাজনের রাজনীতি করি না। আমার খাবে, আমার পরবে, আর আমাকেই চোখ রাঙাবে?এর পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে তিনি দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম, ঠিকানার তালিকা চান। বলেন, দাঙ্গায় কারও বাড়ি ভাঙা হলে তা সরকার গড়ে দিতেই পারে। সেটাই করবে রাজ্য সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*