পিয়ালি
আকাশ কালো। এই বুঝি এল রিমঝিম। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। শীতের চাবুক যেন জানান দিচ্ছে প্রকৃতির রোষ। সন্তোষ আর রাকা অফিসের কাজে কলকাতায়। দিল্লির বাসিন্দা তারা। দুজনেই এমএনসি তে কর্মরত। সন্তোষ অবাঙালি। রাকা প্রবাসী বাঙালি।দুজনেই একই প্রজেক্টে আছে।
আজ অফিসে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। কিন্তু এই অকালবর্ষণে ট্যাক্সি পাওয়া মুশকিল। দুজনেই শ্যামবাজারে রাকাদের পুরোনো বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই একটা লাল পোর্সে গাড়ি থামলো ওদের সামনে। বিদ্যুৎ খেলে গেলো রাকার শরীরে। একি কাকে দেখছে। সম্বিতকে এভাবে দেখবে কখনো ভাবেনি।
শ্যামবাজারে রাকাদের বাড়ির পাশে থাকতো সম্বিত। ভালো ছবি আঁকতো। আর্ট কলেজের ছাত্র। ছোটবেলা থেকে দুজনের বন্ধুত্ব তারপর প্রেম। কেরিয়ার নিয়ে কোনদিন মাথাব্যথা ছিলোনা। রাকার পক্ষে এমন বাউন্ডুলে ছেলের সঙ্গে ঘর করা অসম্ভব। চাকরী পায় রাকা, কলকাতাতেই। আলাপ হয় সন্তোষের সঙ্গে। তারপর দিল্লিতে ট্রান্সফার। সম্বিতের কথা ব্যস্ত জীবনে স্থানই পায়নি। শুনেছে ওরা শ্যামবাজারের বাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও থাকে। কোথায় জানার ইচ্ছে হয়নি। মিষ্টি হেসে সম্বিত গাড়িতে উঠে আসতে বলে। উঠে আসে তারা। বাইরে তখন অঝোরে বৃষ্টি।
Be the first to comment