বিজয় দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত হল এক বিশেষ অনুষ্ঠান

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনই পাকিস্তানি সেনাকে হারিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দুই দেশে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে আসেন বাংলাদেশ সেনার ৮ জন আধিকারিক।

অন্যদিকে, ঢাকায় পৌঁছন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৮ ভারতীয় সেনা। বাংলাদেশ প্রশাসন ও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ঢাকা ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত বিশেষ এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দু’জন সেনাকর্তা।
এদিকে, বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি লেখেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধে যাঁরা অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে ভারতের জন্য জয় নিশ্চিত করেন, তাঁদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।”

এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে বীর সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।”

অন্যদিকে, এক্স হ্যান্ডলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ লড়াই, রক্তক্ষরণ, অত্যাচারের পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের সেই মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। সেই দিনের ইতিহাসের স্মরণে এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে কমান্ডের প্রধান কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই রকমভাবে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
অবশ্য, এই বছর দুই দেশের প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে গণঅভ্যুথানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হসিনা। ৮ অগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এরপর সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে থাকে।
প্রসঙ্গত, সেই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য একদিনের ঢাকা সফরে যান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই বৈঠকের পর সোমবার বিজয় দিবস উদজ্জাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*