
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- পাথর বোঝাই লরি উল্টে গিয়ে মৃত্যু হল এক আদিবাসী বালকের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার সন্তোষপুর গ্রামে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। জানা গিয়েছে, লরি উল্টে গিয়ে পাথর চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে ভাঙচুর করা হয় লরিটিকে। আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাজস্ব আদায়ের অফিস। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে মুরারই থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুই আদিবাসী বালককে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিল নাইকি হাঁসদা নামে এক যুবক। সেই সময় মুরারই থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর গ্রামের কাছে রাস্তার পাশে একটি পাথর বোঝাই লরি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। লরির পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই লরিটি উল্টে যায়। বিপুল পরিমাণ পাথরের মধ্যে চাপা পড়ে যায় দুই বালক সহ বাইক চালক নাইকিও।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাজেশ হাঁসদা নামে সাত বছরের এক নাবালকের। এলাকাবাসীদের দাবি, পাথরে চাপা পড়ে রয়েছে আরও এক আদিবাসী বালক।
গুরুতর জখম হয়েছেন নাইকি হাঁসদা নামে ওই বাইক চালক। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে লরিটিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলের কাছে সরকারি রাজস্ব আদায়ের অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে অথচ রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না। ভাঙা রাস্তা দিয়েই ওভারলোডেড পাথর বোঝাই লরি যাতায়াত করে। সেই কারণেই বেড়ে চলেছে পথ দুর্ঘটনা।
Be the first to comment