জৈব হাটে দু’দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হল জৈব মেলা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- যতদিন যাচ্ছে মানুষের মধ্যে বাড়ছে জৈব সামগ্রীর প্রতি আগ্রহ। এবার মানুষের মধ্যে জৈব সামগ্রীর সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের জৈব সামগ্রীর উৎপাদনে আরও আকৃষ্ট করতে নিউটাউনের জৈব হাটে জৈব মেলার আয়োজন করলো সুস্থায়ী কৃষি পরিবার। জৈব কৃষিপণ্য ছাড়া আর কোন কিছুর প্রবেশাধিকার নেই এখানে। জৈব কৃষিপণ্য মানে যার উৎপাদনে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি কোন কিছুরই ব্যবহার করা হয় না। গোবর, ভার্মি কম্পোজ, নিম, সরষের খোল ইত্যাদির ব্যবহার হয় সার হিসাবে। কিন্তু হাট বলতে যে ছবি আমাদের চোখে ভাসে, সেই ধূলিধূসরিত অবস্থা এখানে নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে পূর্বাঞ্চলের প্রথম আধুনিক ছ’তলা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে জৈব হাট। আর সেখানেই সুস্থায়ী কৃষি পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত হল দু’দিন ব্যাপী জৈব মেলা।

শনি ও রবিবার (১৮ ও ১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চললো এই মেলা। মেলার শেষ দিনে অর্থাৎ রবিবাসরীয় সকালে জৈব হাট থেকে ইকোপার্ক হয়ে আবার জৈব হাটে এসে শেষ হয় একটি ম্যারাথন। এরপরই শুরু হয় ক্রেতাদের সাথে উদ্যোক্তাদের আলোচনা সভা। আগামী দিনে আরোও উন্নতর ভাবে এই জৈব সামগ্রীকে মানুষের দরবারে কিভাবে পৌঁছানো যায় সেই সব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

জৈব মেলা ঘুরে দেখছেন সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষদস্তিদার, সঙ্গে আছেন সাংসদ দোলা সেন

শনিবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি এই মেলার শুভ সূচনা করেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। রবিবার এই মেলায় উপস্থিত হন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষদস্তিদার। এদিন তিনি বলেন, “তাঁর বাড়িতে জৈব সামগ্রীর ব্যবহার প্রচল আছে। তিনি এদিন আরও বলেন, প্রতি মুহুর্তে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন জৈব সামগ্রী তৈরিও করেন।” এই মেলায় মুক্তি থেকে শুরু করে প্রায় ৩২টা সংস্থা অংশগ্রহণ করে।

এই মেলায় কি নেই? ব্রকোলি, পাহাড়ি লঙ্কা, পাহাড়ি কুমড়ো থেকে শুরু করে কালো চাল, নানা ধরনের ডাল, হলুদ, এলাচ, মধু, আচার, এমনকি, সরষের তেলও।

উল্লেখ্য, কীটনাশক আর রাসায়নিক সার নিয়ে বিশ্ব জুড়ে উৎকণ্ঠার কারণে জৈব সারের ব্যবহার বাড়িয়ে অনেকেই বিকল্পের সন্ধান করছেন। তাই ২২ সালে পুজোর পর রাজ্য সরকারের কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে শহরে প্রথম তৈরি হয় অর্গানিক বা জৈব হাট। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ছয় তলা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন করা হয়েছে, সেখানে জৈব সারেউৎপাদিত সবজি বিক্রি করা হয়। জৈব সারও কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। এবার সেখানেই গত বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জৈব মেলা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*