অমৃতা ঘোষ :-
সকাল সকাল মহানগরীতে ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্যকর ঘটনা। চলতি বাসে শ্লীলতা হানির শিকার হলো এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটে রুবির দিকে ইএম বাইপাসে। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ মুকুন্দপুর থেকে উল্টোডাঙা গামী বাসে উঠেছিলেন সেই মহিলাটি। বাসের মধ্যে একজন ব্যক্তি তাকে শ্লীলতা হানি করেন। মহিলাটি যখন প্রতিবাদ করেন তখন উল্টে তাকে সেই ব্যক্তি শাসানি দেন বলে অভিযোগ। মহিলাটির দাবি বাস যখন রুবি মোর গিয়ে পৌঁছয় তখন সেই ব্যক্তি বাস থেকে তড়িঘড়ি করে নেমে যাচ্ছিলেন। তখন সেই ব্যক্তিকে ওইখানে ধরে ফেলা হয় এবং তাকে কসবা থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মহিলাটির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবং অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
দিনে দুপুরে ও আজ নারী নিরাপত্তা হরণ করা হচ্ছে তাও জনবহুল জায়গায়।
অভিযোগকারিনী বলেন , “এখন সারাদেশ জুড়ে যেখানে প্রতিবাদ চলছে সেখানে সকাল সকাল চলতি বাসের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটছে। প্রতিবাদ করলে উল্টে শাসানো হচ্ছে। কোথায় আমাদের সুরক্ষা? আমিও উই ওয়ান্ট জাস্টিসের দাবিতে পথে নেমেছি, মেয়েটির জন্য প্রতিবাদে পথে নেমেছি। কিন্তু আজ যেটা হল তা প্রমাণ করছে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত এমনটাই চলতে থাকবে।”
নারী নিরাপত্তা নিয়ে যেখানে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলছে গোটা বাংলা তথা রাজ্য, এমনকি সমস্ত দেশের মানুষও এখন সরব হয়েছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে সেখানে বারংবার একইভাবে মহিলাদের শ্লীলতা হানির চেষ্টা করা তাদের ধর্ষণ করা যেন বাঁধ মানছে না। সত্যিই তো যতদিন পর্যন্ত সঠিক অভিযুক্ত কে শাস্তি না দেওয়া হবে হয়তো ততদিন পর্যন্ত এই ভাবেই প্রতিনিয়ত কর্মস্থানে বা পথেঘাটে চলতে বা নিজেদের বাড়িতেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হবে, কিন্তু এটাই কি স্বাধীন ভারতের স্বাধীন বাংলার রূপ? যেদিকে নারী স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, যেদিকে পুরুষ ও নারীর মধ্যে কোনরকম ভেদাভেদ না করে সকলে সমান পথে এগিয়ে চলছে অপর দিকে ঠিক একই ভাবে আবার নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। সমাজের মুখে তাকে অপমানিত করা হচ্ছে। এটাই কি ভবিষ্যৎ? যদি সত্যিই তাই হয় যে আরজি করের ধর্ষণ ও হত্যার কান্ডে অভিযুক্ত আসামীকে শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে হয়তো সমাজের মধ্যে ভদ্র বেশে লুকিয়ে থাকা ঘৃণ্য মুখগুলিকে ও তাদের পাশবিক আচরণ গুলিকে মেনে নেওয়া হবে। তাই সমাজকে জঞ্জাল মুক্ত করতে এদের শাস্তি হওয়া অনিবার্য।
Be the first to comment