তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন দীর্ঘদিনের এই কংগ্রেস নেতা।
সোমবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দিদির অনুমতিতে, অভিষেকবাবুর অনুমতিতে আজ আমি এখানে হাজির। আজ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রাথমিক সদস্য হিসাবে যোগদান করলাম। এক কংগ্রেস থেকে অন্য কংগ্রেসে। মূল থেকে তৃণে। কিন্তু কংগ্রেসেই আছি।”
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাব মমতা দিদিকে এবং অভিষেকবাবুকে। দিদির অনুমতিতে এবং অভিষেকবাবুর অনুমতিতে এখানে আসতে পেরেছি। এক কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কংগ্রেসে এসেছি। কংগ্রেসেই আছি। ২০১১ সালে যখন সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসি তখন বাম বিরোধী যে হাওয়া উঠেছিল রাজ্যে তা তুলেছিলেন মমতা দিদি। আমি ওনার নেতৃত্বে তখন লড়েছি। পশ্চিমবঙ্গে তিনি বিজেপিকে রুখতে পেরেছেন। পরবর্তীতে তিনি আরও অনেকের সঙ্গে বদল আনতে পারেন। আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে যোগ দিলাম।’
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। গত ৯ জুন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ তাঁর জঙ্গিপুরের বাসভবনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জঙ্গিপুরের সাংসদ-সহ একাধিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই জেলাজুড়ে জল্পনা ছড়ায়, তা হলে কি অভিজিৎও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে উদ্যত? এদিন সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল।
গত ২১ জুন সন্ধ্যায় ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান অভিজিৎ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে কথা হয় অভিজিতের। আর এপরপরই আরও জোরালো হয় অভিজিতের দলবদলের জল্পনা। এর আগে কয়েকদিন আগেই সাংসদ ও তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাংসদ খলিলুর রহমান, দুই মন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের সঙ্গে চা-চক্রে দেখা করেছিলেন অভিজিৎ। তখন থেকেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল।
মনে করা হচ্ছে যে, জঙ্গিপুর আসন থেকে অভিজিৎকে টিকিট দেওয়া হতে পারে তৃণমূলের তরফ থেকে। রাজ্যের যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে একটি হল জঙ্গিপুর। এর আগে ২০১২ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হলে জঙ্গিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেন। উপনির্বাচনে সেই আসন থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন অভিজিৎ। পরে ২০১৪ সালেও জয় পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান।
Be the first to comment