তৃতীয়বারের জন্য বিশাল ব্যবধানে বাংলায় সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বাংলা জয়ের পরই পরবর্তী লক্ষ্য স্থির হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। সেই মতো নির্বাচনী হট্টগোল খতম হতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় স্তরে তুলে আনা হয়। তাঁকে বসানো হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে।
নীলবাড়ির লড়াই জিতে তৃণমূলের পরবর্তী নিশানা যে দিল্লি তা বোঝাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং দিল্লি যাচ্ছেন। আর তার আগেই সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করে রণনীতি সাজালেন অভিষেক। দলীয় সাংসদদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক উভয় কক্ষের সদস্যদের নির্দেশ দিলেন যাতে লোকসভা, রাজ্য়সভায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি থাকেন সাসংদরা।
জানা গিয়েছে, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সংসদের উভয় কক্ষে দলীয় সাংসদদের উপস্থিতি আরও বাড়াতে হবে। কোনও কারণ দেখিয়েই যাতে সাংসদরা অধিবেশন এড়িয়ে না যান তা সুনিশ্চিত করতে হবে সুদীপ এবং ডেরেককে।
জানা গিয়েছে, সংসসদে অনেক সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিষেক। এই বিষয়ে সুদীপ এবং ডেরেককে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন অভিষেক। পাশাপাশি সাংসদরা যাতে দলীয় নেত্রীর বার্তা যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, সংসদে আরও সরব হতে হবে সবাইকে।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর এবং যশবন্ত সিনহাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও একটি বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই দিল্লি পৌঁছবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচদিন রাজধানীতে থাকবেন তিনি। এই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন।
একই সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক বুঝিয়ে দিচ্ছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে মরিয়া তৃণমূল। এর আগে একুশের মঞ্চেও তা পরিষ্কার করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত অভিষেকও।
Be the first to comment