দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, লাগাতার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আবার মুখে বলছেন উনি ‘দুর্নীতির গ্যারান্টার’। চোখের সামনে উদাহরন তুলে ধরে খোদ মোদির মুখোশ খুলে দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উদাহরণ হিসেবে অভিষেক তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। যাদের বিরুদ্ধে রাশি রাশি দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া তো দুরের কথা তাঁদের মাথায় তুলে রাখা হয়েছে।
শনিবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার তৃণমূলের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তার একটাও হয়েছে? ১৫ লক্ষ টাকা, ২ কোটি চাকরি, ২০২২ সালের মধ্যে সবার মাথার উপর পাকা ছাদ তৈরি করবেন বলেছিলেন, কৃষকদের আয় ৪ গুণ বাড়বে বলেছিলেন। তা কি হয়েছে? মোদি বলেছিলেন, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি দুর্নীতি হবে না। আমি গ্যারান্টার। গ্যারান্টারের প্রোডাক্ট হলেন জন বারলা। ওনার বাড়ি দেখুন। যাকে টিভির পর্দায় খবরের কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গেল সেই শুভেন্দু অধিকারীকে দলের সম্পদ করে রেখে দিয়েছেন মোদি। সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে বলেছিল আমার কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে, সেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছেন। দুর্নীতির গ্যারান্টার যদি প্রধানমন্ত্রী হয় তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এই গ্যারান্টার যা গ্যারান্টি দিয়েছে তা বাস্তবায়িত করেছে। এই গ্যারান্টার বলেছিল চা বাগান খুলে দেব। খুলেছে? এই গ্যারান্টার বলেছিল চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে পাঠাব। পাঠিয়েছে? বলেছিল বাংলার সাথে সহযোগিতা করব। করেছে? এই মিথ্যাবাদী গ্যারান্টারকে আপনার বিশ্বাস করেন?
একইসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, “অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন। আপনারা পেয়েছেন। বিনা পয়সায় রেশন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, যা বলেছিল সব পেয়েছেন। তাহলে আসল গ্যারান্টার কে?” জনগনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক। এবং বলেন, আগামী ৮ জুলাই আসছে দিন বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। এছাড়াও তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে মানুষের হাতে থাকে আসল ক্ষমতা। মোদির হাতে রিমোর্ট কন্ট্রোল, সুইচ টিপে উনি মানুষের টাকা আটকে দিচ্ছেন। ২ কোটি মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকে দিয়েছে। মোদির হাতে রিমোর্টের সুইচ থাকলে আপনার হাতে ইভিএমের বোতাম আছে। মানুষ চাইলে দাম্ভিক প্রধানমন্ত্রীকে ৫ সেকেন্ডে টেনে মাটিতে নামাবে। ২০১৯ সালে রাম মন্দিরকে দেখে ভোট দিয়েছিলেন তাই আজ রাম মন্দির হচ্ছে গোটা দেশে বিভাজন হচ্ছে। ৮ জুলাই ধর্ম নয়, অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দিন।
Be the first to comment