রাহুলের মন্তব্যকে সমর্থন না করেও মোদি-শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

Spread the love

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার বিরোধিতা করলেও কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা সমর্থন করেন না। সেই কারণেই কংগ্রেস নেতার মন্তব্যকে সমর্থন করে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশে রাহুল বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি ও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

নরেন্দ্র মোদি, নীরব মোদি, ললিত মোদি-কে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। এই কারণে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সাজা ঘোষণা করে সুরাট আদালত। খারিজ হয় রাহুলের সাংসদ পদ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রায় সব কেন্দ্র-বিরোধী দল। রাহুলের সাংসদপদ খারিজের বিরোধিতা করেছে তৃণমূলও। এদিনর মঞ্চ থেকে মোদি সরকারে বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শাণিয়ে সেই বিষয়টি উত্থাপন করেন অভিষেক। যদিও তিনি বলেন, কোনও সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা সমর্থন করেন না তিনি। কিন্তু মোদি সম্প্রদায়কে আঘাত করার জন্য যদি শাস্তি হয়, তাহলে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী ”দিদি ও দিদি” বলে ব্যঙ্গ করায় তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন! তিনি তো মহিলাদের সম্মানে আঘাত করেছেন। আদিবাসী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে জুতার তলায় রাখি বলার জন্য কেন বিরোধী দলনেতার কেন ২ বছরের জেল হবে না? সুরাট আদালতের রায়কে সামনে রেখে এই বিষয়ে আইনি লড়াই করার জন্য তৃণমূলের লিগাল সেলকে বলেন অভিষেক।

রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সরব হয়েও কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা যে তিনি বরাদস্ত করেন না, তা স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। পাশাপাশি, বিজেপি চালেই তাঁদের নেতা-মন্ত্রীদের মাত দেওয়ার পরিকল্পনা সাজিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*