রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক-সহ চারজনকে সোমবারই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নারদকাণ্ডের এই গ্রেফতারিতে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের খবর ছড়াতেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথে নেমেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। কার্যত ক্ষোভের আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে। কিন্তু করোনাকালে এ পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই দলের কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘লকডাউন ভেঙে বিক্ষোভ নয়। রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রাখুন। সকলকে আইন মেনে চলার আবেদন জানাচ্ছি। বাংলার বৃহত্তর স্বার্থে লকডাউনের নিয়মবিধি ভাঙা থেকে বিরত থাকুন। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আইনি লড়াই চলবে।’
একইসঙ্গে রাজ্যের বিধায়কদের বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই গ্রেফতারি নিয়ে টুইটারে সরব হন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের দ্বারা সিবিআই প্রভাবিত বলে অভিযোগ করেন তিনি। অমিত মিত্র লেখেন, ‘বাংলার দুই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল অথচ প্রোটোকল মেনে বিধানসভার অধ্যক্ষের কোনও অনুমতি নেওয়া হল না। বাংলার মানুষ বাতিল করায় এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’
সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় আবার রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবি করে টুইটে লেখেন, ‘৯ মে ধনখড় প্রসিকিউশনে সম্মতি দেন। অথচ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ১০ মে শপথ নিয়েছেন। তা হলে প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট ২০১৮ অনুযায়ী ধনখড়ের তো এই অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। জগদীপ ধনখড়ের একেবারেই অনৈতিক কাজ। পদত্যাগ করুন।’
Be the first to comment