অসমের মাটিতে পা রেখেই CAA-NRC নিয়ে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, CAA নিয়ে BJP নেতাদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ”CAA-NRC নিয়ে দ্বিচারিতা করছে দিল্লি। CAA নিয়ে বাংলা এবং অসমে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়। যাদের এই তালিকায় থাকার কথা নয়, তাঁদের রাখা হয়েছে। এদিকে যাদের NRC তালিকায় থাকার কথা, তাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘৃন্য আইন মানি না। NRC-CAA মানি না।” CAA কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক অস্ত্র বলেই মনে করছেন অভিষেক। এই ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় বলেও সতর্ক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, একদিনের সফরে অসমে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অসম থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে এদিন তিনি বলেন, ”আপনারা নিশ্চয়ই চান না অসম বিজেপির রিমোর্ট কন্ট্রোলে পরিণত হয়ে থাকুক। অসমের নিজস্ব জাত্যাভিমান রয়েছে। দিল্লি কেন অসমকে চালাবে? বাংলা বা গুজরাট কেন অসমকে চালাবে। অসম নিজে নিজের সম্মান রাখতে জানে।” একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ”চোখে চোখ রেখে কথা হবে। ২০২৪-এ মসনদ উলটাতেই হবে। যাই করে নিক, আমরা ভয় পাই না। মরণপন লড়াই হবে। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত জান দিয়ে লড়াই করব। রাস্তায় নেমে লড়াই হবে। মার খাব কিন্তু মাথা নোয়াব না। তৃণমূল ঝুঁকবে না। সীমান্তে সেনাদের যেমন মানসিকতা, আমাদেরও তেমন মানসিকতা। তৃণমূল ময়দান ছেড়ে পালিয়ে আসে না।”
অসমের কর্মীসভা থেকে কংগ্রেসকে বিদ্রুপ করে অভিষেক বলেন, ”যতদিন না পর্যন্ত BJP সরকারকে উৎখাত করতে পারব, ময়দান ছেড়ে পালাব না। আপনারা যখন আমায় ডাকবেন পাশে পাবেন। খালি লড়াইয়ের জন্য অসমে পা রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কংগ্রেস ছেড়ে এসেছেন। টুইটার-ফেসবুকে লড়াই করি না আমরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়দানে নেমে, মার খেয়ে, তবেই লড়াই হবে। তবেই পেট্রল-ডিজলের দাম কমবে।” BJP সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ধর্মের দোহাই দিয়ে একটা সরকার চলছে। কেউ বলছে হিন্দু বিপদে আছে। কেউ বলছে মুসলমান বিপদে আছে। আমি বলছি ধর্মের চশমাটা খুলে দেখুন, গোটা দেশ বিপদে আছে।”
Be the first to comment