অসমে পা দিয়েই কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে নজর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুয়াহাটির কর্মিসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কংগ্রেসকে দিয়ে হবে না। রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে। সেটা একমাত্র তৃণমূলই পারে।” একইসঙ্গে তাঁর সদর্পে ঘোষণা, ‘তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি।’
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আর কী কী বললেন অভিষেক?
এখানে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা প্রায় সকলেই কংগ্রেস ছেড়ে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেস ছেড়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন। কিন্তু কেন, সেটা বুঝতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়াই করলে হয় না। মাঠে নেমে লড়াই করতে হবে। তৃণমূল আর কংগ্রেসের লড়াই একরকম নয়। কংগ্রেসকে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে না।
অভিষেক আরও বলেন, আমরা এমন একটা দেশে বাস করি, যেখানে পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের উপর কর নেওয়া হচ্ছে। দাম এত বাড়ছে যে আমজনতার নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ বিনোদনের জন্য সিনেমাকে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মোদিকে ভোট দেওয়ার পেনাল্টি পেট্রলের দামবৃদ্ধি।
ধর্মের দোহাই দিয়ে একটা সরকার চলছে। কেউ বলছে হিন্দু বিপদে আছে, কেউ বলছে মুসলমান বিপদে আছে। আমি বলছি ধর্মের চশমাটা খুলে দেখুন, গোটা দেশ বিপদে আছে।
এরপরই দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, আমরা এখানে শুধু লড়াই করতে আসিনি। জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে এসেছি। যতবার যেখানে দরকার পড়বে ততবার আমি আসব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করব। এবছরেই প্রতিটি বুথে কমিটি তৈরি হবে।
অভিষেক জানান, ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। আমাকে অন্তত ১০বার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে, আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে, জেরা করেছে তবু আমাকে আটকাতে পারেনি। এভাবে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলকে আটকানো গেলেও তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। ত্রিপুরায় পা দিতেই হামলা হয়েছে। তবু আটকাতে পারেনি। তৃণমূল ঝুঁকেদা নেহি। সীমান্তের পাহারাদার সেনার মতো মানসিকতা নিয়ে আমরা লড়াই করি। এছাড়াও তিনি বলেন, জুন মাসে আমি আবার আসব অসমে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন।
Be the first to comment