দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মন্তব্য তৃণমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, শুধু আমজনতা নয়, সাংসদরা কী ভাষায় কথা বলবেন, কীভাবে কথা বলবেন, তাও নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে না। এটা গণতন্ত্র নয়, স্বৈরতন্ত্র।
বৃহস্পতিবার সংসদের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সাংসদরা বেশ কিছু শব্দ সংসদে ব্যবহার করতে পারবে না। অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কথায়, সেই সব ‘শব্দ’ সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে। এহেন বিবৃতির পরেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, বিজেপির দম্ভ, অহঙ্কার দিন দিন বাড়ছে। ওঁরা কি ঠিক করে দেবে যে কী বলব, কী বলব না? ব্রিটিশ শাসনে ভারত এতটা পরাধীন ছিল না, যতটা এখন আছে। দম্ভের ফল ভুগেছে ব্রিটিশরা, ভুগবে বিজেপিও।
শব্দ নিয়ে শব্দবাণ ছুড়েই ক্ষান্ত হননি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন কেন প্রধানমন্ত্রী করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তাঁর প্রশ্ন, উদ্বোধনে কেন রাষ্ট্রপতিকে বাদ দেওয়া হল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই অশোকস্তম্ভের সিংহ-মুখ পরিবর্তন নিয়েও সুর চড়ান তিনি। অভিষেকের কথায়, দেশের ইতিহাস বদলে দিচ্ছে বিজেপি। অশোক স্তম্ভের রূপ পাল্টে দিচ্ছে। কারও মতামতের তোয়াক্কা করছে না।
এর পরই অভিষেকের বার্তা, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধী সুর বেধে দেবেন মমতা। আগামী দিন কোন পথে, কীভাবে কেন্দ্র-বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে, সাংসদ-বিধায়ক-নেতা-কর্মীদের সেই বার্তায় দলের সর্বভারতীয় নেত্রী।
Be the first to comment