আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সুতরাং হাতে বেশি সময় নেই। এই অবস্থায় শনিবার প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা দিয়েই প্রচারে শুরু করলেন তিনি। এখানে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তিনি। তারপরেই জনগণের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিলেন, ‘গোসাবায় প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল নন, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ অর্থাৎ ভোট দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই।
ইতিমধ্যেই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে ফলাফল হয়েছে ৩–০। বিজেপি গোহারা হয়েছে। তাই আজ বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। আগামী তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আগামী দেড় বছরে ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিপ্লব দেবের যত ক্ষমতা আছে কাজে লাগাক। ত্রিপুরায় ঢুকব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং আদর্শকে সামনে রেখে লড়ব। বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক।’ ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার পুরভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়েছে। তার পর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কিছুদিন আগেই কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে ৯ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিনের সভায় সে কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমাকে যদি ৫ হাজার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে, যদি গলাটা কেটেও দেয়, তাও জয় বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বের হবে।’ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আগেও সরব হয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই কথা তুলে ধরলেন।
আজ একটি স্লোগান তৈরি করে দেন অভিষেক। গোসাবা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সুব্রত মণ্ডলকে। তিনি বলেন, ‘আগে বলেছিলাম বহিরাগতদের দিন বিদায়, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। এবার বলছি, বহিরাগতদের দিন বিদায় গোসাবা নিজের ছেলেকে চায়। ভূমিপুত্র সুব্রত মণ্ডলকে জেতান। প্রতি বুথ, প্রতি অঞ্চল থেকে জেতাতে হবে। কারণ প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল নন, প্রার্থী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।’
Be the first to comment