BSF-এর গুলিতে নিহতদের পরিবারের পাশে থেকেই ”জনসংযোগ যাত্রা” শুরু অভিষেকের

Spread the love

মঙ্গলেই শুরু হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন যাত্রা। নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি। এলো “তৃণমূলে নবজোয়ার”!
পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলের মাস্টার স্ট্রোক।
কোচবিহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বামনহাটের তাঁবুতে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত দুই যুবক প্রেমকুমার বর্মন ও মোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। কথা বলে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অভিষেক।

সকালেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, “তৃণমূল স্তরে প্রগতির জোয়ার আনতে, আজ থেকে আমি শুরু করতে চলেছি ‘জন সংযোগ যাত্রা’।
শুরুতেই আমি সাক্ষাৎ করলাম বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্গীয় প্রেমকুমার বর্মণ এবং মোজাফ্ফর হোসেনের পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের পরিবারের যে ক্ষতি বিএসএফ করেছে, তা পরিশোধ করার মতো শক্তি, ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই। এই ক্ষতি অপূরণীয়। কিন্তু সবরকম সাহায্য নিয়ে পরিবারের পাশে রয়েছি আমি এবং আমার দলের প্রত্যেকে। বিজেপি সরকারের ক্রূরতা সীমাহীন। আর এই সীমাহীন স্বৈরাচারিতাকে শেষ করতেই আমরা গড়তে চাই তৃণমূল স্তরে সাধারণ মানুষের পঞ্চায়েত।”

এদিন বামনহাট তাঁবু থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মাধাইকাল কালীবাড়ি মন্দিরের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা হন অভিষেক। সেখানে পুজো দেওয়ার পরই সাহেবগঞ্জের সভায় যোগ দেন তিনি। এই মাধাইকাল কালীবাড়ি যাওয়ার সময় গ্রামের পথেই ”জনসংযোগ” সারলেন অভিষেক। মিশে গেলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে তাঁর কাছে চলে আসা যুবক-যুবতীদের সঙ্গে সেলফিও তুললেন। কখনও আবার নিজেই এগিয়ে গেলেন স্থানীয়দের কাছে। তাঁদের অভাব অভিষোগ শুনলেন। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয়দের অভিযো, ”বাড়িঘর কিছু পাইনি।” জবাবে অভিষেক কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধে বলেন, ”বাড়ির ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়। আর রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। বার বার বলার পরেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রকে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।” এরপরই অভিষেকের আশ্বাস, ”কেন্দ্র টাকা না দিলে, একটা নির্দিষ্ট সময় পর বাড়ি করে দেবে রাজ্য সরকার-ই।”

মঙ্গলবার কোচবিহারে ৪টি জনসভা রয়েছে অভিষেকের। যার প্রথমটি দিনহাটার সাহেবগঞ্জে। তারপর সিতাইয়ের গোসাইমারি ও শীতলকুচিতে জনসভা করবেন অভিষেক। শেষে মাথাভাঙায় গ্রামবাংলার মতামত কর্মসূচি। এই সভা থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মানুষ গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*