এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র আপত্তি অগ্রাহ্য করে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই চোখের চিকিত্সা করাতে দুবাই গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সঙ্গে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। কিন্তু এর পরও ইডি-র তরফ থেকে সে দেশের সরকারকে অভিষেকের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এই সংস্থার এই ভূমিকার পিছনে মোদি সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই মঙ্গলবার দুবাই থেকে টুইট বার্তায় মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক লেখেন, আমার ওপর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে, গোটা দেশের নজরদারিতে তারা রয়েছে। যেভাবে এই দুই তদন্ত সংস্থা অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে আমাকে চোখে চোখে রাখছে, ঠিক একই উত্সাহের সঙ্গে তারা নীরব মোদি এবং বিজয় মালিয়ার ওপর নজরদারি চালালে, জনগণের ৩০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যেত।
প্রসঙ্গত, কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়ানোর পর থেকেই তাঁর বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব সহকারেই দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। আদালতকে সব জানিয়ে চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই আসার পরও কেন্দ্রীয় সংস্থা যেভাবে তাঁর ওপর নজরদারি চালিয়েছে, তা প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসাবেই দেখছেন অভিষেক।
Be the first to comment