টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। যার জেরে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি আবাস যোজনা’র বাড়ি। বাধ্য হয়ে মাটির বাড়িতে থাকা বাঁকুড়ায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে দেওয়াল ধসে। বাঁকুড়ার সন্তানহারা ৩ শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বিমানেই তিন শিশুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লি রওনা হলেন তিনি। যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হন অভিষেক।
শনিবার ভোরে ঝড়বৃষ্টির মাঝে খেলতে গিয়ে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। যারা হল বছর পাঁচেকের রোহন সর্দার, চার বছরের নিশা সর্দার এবং বছর তিনেকের অঙ্কুশ সর্দারের। প্রত্যেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহের বোড়ামারার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সন্তান। পরিবারের দাবি, রাতভর বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়ালে ধস নেমে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনার জেরে ১০০ দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সঙ্গে এবার যুক্ত হল ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পের বঞ্চনাও। এদিন দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মৃত পরিবারের চার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বললেন, “কেন্দ্রের আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে ওঁরা সন্তানদের হারিয়েছেন। সেই শোক সামলে আমার সঙ্গে ওঁরা যোগাযোগ করেছেন। এক কাপড়ে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় এসে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামের গরিব মানুষের প্রতি এই বঞ্চনায় তাঁরাও শামিল হবেন। আমি নিজের তাঁদের বিমানে নিয়ে যাচ্ছি।”
পাশাপাশি গোটা ঘটনার দায় সরাসরি মোদি সরকারের উপর চাপিয়ে অভিষেক বলেন, “যাদের জীবন শুরুই হল না, ৩-৪ বছর বয়স তাদের মৃত্যুর দায় নরেন্দ্র মোদি, গিরিরাজ সিং আর এখানকার বিজেপি নেতাদের। যারা চিঠি লিখে বলেছে বাংলার মানুষের টাকা আটকে দাও যারা দিল্লিতে গিয়ে দালালি করেছে বাংলার মানুষের টাকা আটকে দাও তাদের হাতে আজ বাংলার মানুষের রক্ত লেগে রয়েছে। আমি মনে করি এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত এবং গিরিরাজ সিং-সহ সবকটাকে গ্রেফতার করা উচিত। কেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে না? ৩৩ লাখ মানুষের তালিকা, তার মধ্যে ১১ লাখ লোকের তালিকা আধার সিডিং হয়ে কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। তার পরেও টাকা বন্ধ। একশো দিনের ৭ হাজার কোটি টাকা বন্ধ। এই যে ৪ জন দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের সবার জব কার্ডের টাকা বন্ধ রয়েছে। এদের বাড়িতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তার পরও এরা দিল্লি যেতে তৈরি হয়েছে।”
Be the first to comment