বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখায় ফের একবার কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানায় নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের জনসভা থেকে খোদ মোদিকে নিশানায় নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানালেন, আপনাদের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির বানানো হচ্ছে, সেন্ট্রাল ভিস্তায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে, অত্যাধুনিক বিমান কিনে বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন মোদি।
এদিনের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার মানুষের ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ১০০ দিনের কাজে সাড়ে ৭ হাজার টাকা বকেয়া, আবাসের ৮ হাজার কোটি টাকা, রাস্তার ৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। এদিকে আপনার টাকা আটকে রেখে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির বানানো হচ্ছে, ২০ হাজার কোটি খরচে সেন্ট্রাল ভিস্তায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সাড়ে ৮ হাজার কোটি খরচে অত্যাধুনিক বিমান কিনে বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন মোদি। একইসঙ্গে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, গণতন্ত্রে শাসক শেষ কথা বলে না, শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। রিমোর্ট কন্ট্রোলে মানুষের টাকা আটকাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৪-এ আপনার হাতে ইভিএমের বোতাম থাকবে, দাম্ভিক শাসককে টেনে নামিয়ে দেওয়ায় ক্ষমতা আপনার হাতে। একইসঙ্গে যোগ করেন, “যারা মানুষের স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করতে পারে না, তাঁরাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। যারা জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করছিল তাঁদেরও ১২০০ টাকায় গ্যাস কিনতে হচ্ছে। এই নরেন্দ্র মোদি পাল্টাতে ভালোবাসে। জায়গায় নাম, নোট সব পালটে দেয়। মোদি যে ভাসায় বোঝে সেই ভাসায় জবাব দিতে হবে। ২৪-এর নির্বাচনে মোদিকে পাল্টে দিতে হবে।”
এছাড়াও বকেয়া টাকা আদায়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়ে অভিষেক বলেন, “টাকা আদায় করার ৩ টে রাস্তা আছে প্রথমত, এদের ভালো করে বলা টাকা আটকাবেন না ছেড়ে দিন। যেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছেন, তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে আবেদন জানিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও দিল্লি গিয়ে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তাহলে বাকি আর দুটো রাস্তা একটা মোদিজির পা ধরুন, নাহলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করুন।” এরপর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শেষ রাস্তাটাই বেছে নেব। ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়ে গিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন করব আমরা। লড়াই করে আমাদের টাকা আমরা ফেরত আনব।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার। আন্দোলনে বসার দায়িত্ব আমার। লড়াইয়ের দায়িত্ব আমার। দরকারে কৃষি ভবনের বাইরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্না দেব। তবে তার জন্য পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে।”
Be the first to comment