শনিবারের বারবেলায় উপনির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়দার জনসভার প্রচার মঞ্চ থেকেই দলত্যাগীদের নাম না করে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এদিন অভিষেক বলেন, ‘আগের তৃণমূলের থেকে এখানকার তৃণমূলে অনেক ফারাক। এই পার্থক্য আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন। এই তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে ২১৩ জিতেছে। ২০২৪ সালেও বিজেপিকে হারিয়ে জিতব।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিষেকের প্রধান নিশানা শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছু নেতা দল ছেড়ে যাওয়ার পর যে আদতে ঘাসফুল শিবিরেরই ভালো হয়েছে, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। খড়দায় প্রচারে এসে শনিবার অভিষেক বলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য হল, কংগ্রেস সাত বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল গত সাত বছর ধরে বিজেপিকে হারাচ্ছে।’
আগামী তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে বলে দাবি করেন অভিষেক। পাশাপাশি দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরা থেকে তৃণমূল বিজেপিকে রাজ্য ছাড়া করে সরকার গড়বে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘গোয়া-ত্রিপুরা নয়, আমরা মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশে ঢুকছি।’ নাম না করে মোদীকে নিশানা করে তিনি এদিন বলেন, ‘এটা বাংলা, গুজরাত নয়। ভেবেছে অন্য রাজ্যের সংস্কৃতি আমাদের উপর বিজেপি চাপিয়ে দেবে। এসব এখানে করতে গেলে আপনাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেব। গত ভোটে তা এ রাজ্যের মানুষ তা করে দেখিয়েছে।’
এর আগেই বহুবার শুভেন্দু অধিকারীকে নাম উল্লেখ করে এবং বহু ক্ষেত্রে নাম করে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে অভিষেককে। নির্বাচনের সময় আক্রমণের জবাবে শুভেন্দু অধিকারীকে ঘুষখোর বলে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নাম নিয়ে বলছি, শুভেন্দু অধিকারী ঘুষখোর। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে বলেছেন, তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ব্ল্যাকমেল করতেন। ক্ষমতা থাকলে বলুন, এটা মিথ্যা কথা। আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তোলাবাজ নয়, তোলাবাজি বন্ধ করেছে। সেই কারণেই এত আপত্তি।’
উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা সহ গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর মধ্যে দুটি বিজেপির জেতা আসন। শাম্তিপুর এবং দিনহাটা। ফলে বিজেপি পাখির চোখ করেছিল এই দুটি কেন্দ্রকেই। কিন্তু তৃণমূল ৪-০ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।
Be the first to comment