তৃণমূল সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কে হবেন বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে ফিসফিসানি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেকথা উল্লেখও করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অসম সফরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সে বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের পরবর্তী উত্তরাধিকারী কে, গুয়াহাটিতে অভিষেককে সে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তর দিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেকে দলের সাধারণ কর্মী হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনও অভিমত নেই। যারা কথা বলছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত অভিমত। আমি প্রথম দিনই বলেছি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমি সকলের মতামতকে সম্মান জানাই। দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই মতো কাজ করছি।” দলের একজন কর্মী হিসাবে পরবর্তী লক্ষ্যও স্পষ্ট করেন অভিষেক। তাঁর মতে, “এখন ব্লক, জেলায় তৃণমূলের প্রসার ঘটানোই আমার লক্ষ্য। আপাতত ৭-১০টি জেলায় তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য। সেটাই করছি।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তির দিন কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দলের উত্তরাধিকারী নিয়ে ভবিষ্যৎদ্বাণী করেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাংলার মসনদে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।” কুণাল ঘোষের পর অপরূপা পোদ্দারও প্রায় একইরকম টুইট করেন। আগামী ২০২৪ সালেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্ক দানা বাঁধতেই টুইট ডিলিটও করে দেন তৃণমূল সাংসদ।
উত্তরাধিকার বিতর্কে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করে পার্থ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন।” মমতার পর কে নেতা হবেন, তা মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।” এই ইস্যুতে অভিষেক মুখ খোলায় উত্তরাধিকারী বিতর্ক যে আরও জোরাল হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
Be the first to comment