সফল হয়েছে হাঁটুর অপারেশন। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে নারাজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কলকাতার প্রেস ক্লাব থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা SSKM হাসপাতালে যেতেই তাঁর সঙ্গেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়ির দিকে রওনা দেন মমতা।
এদিন দুপুরে পৌনে দুটো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হয় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। মিনিট পনেরোর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে প্রথমে ইউসিএম ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশের সময় তাঁকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। কিছু প্রাথমিক পরীক্ষার পরই ওটি তে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। ফিজ়িক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক এবং তাঁর টিম এই অপারেশনের দায়িত্ব নেন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ জানা যায় যে হাঁটু থেকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নির্গত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এরপরই উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টার দুর্যোগের মধ্যে পড়ার পর চপার থেকে নামতে গিয়ে বাঁ হাঁটুতে ও কোমরে ফিমার বোনে চোট পেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর “হাঁটু স্ম্যাশ হয়ে গেছে, লিগামেন্ট ও টিস্যু ছিঁড়েছে।” এরপর বাড়িতে ফিজিওথেরাপি চলে, এবং ডাক্তারদের পরামর্শ মতো আজ ৬ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন মমতা।
এসওপি অনুযায়ী, ফ্লুইড বের করার পর অন্তত ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর যে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে রাজি হননি। তিনি বাড়ি থেকেই বাকি চিকিৎসা করাবেন বলে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানান এসএসকেএমের অধিকর্তা ডা.মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সন্ধ্যা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে যেতেই তাঁর হাত ধরে বাড়ির দিকে রওনা দেন মমতা। গাড়িতে ওঠার সময় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ব্যান্ডেজ দেখা যায় এবং তিনি যে অস্বস্তির মধ্যে আছেন চোখে মুখে সেই ছাপ স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্তত দিন তিনেক টানা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, তাই এই সময় হাসপাতালে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সামনেই নির্বাচন, তাই আপাতত বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment