রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- এবার ভারতে প্রথম থাবা বসাল চিনের নয়া ভাইরাস এইচএমপিভি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে এক আট মাসের শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি ল্যাবে শিশুর নমুনা পরীক্ষা হয়নি। বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবেই টেস্ট হয়েছে। তবে সেই রিপোর্টে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বহু বছর আগেও দেশে হিউম্যান মেটানিউরোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত ১১ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কর্ণাটক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভাইরাসের কোন স্ট্রেনে শিশুটি আক্রান্ত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিনে এই ভাইরাসের কোন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শীঘ্রই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকালই এই ভাইরাসের কথা উল্লেখ করে কেরল সরকারের তরফে সাধারণ মানুষকে কোনওরকম আতঙ্ক না ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। বাড়ির বাইরে যেতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা ও প্রবীণ নাগরিকদের। একই সতর্কতা জারি হয়েছে তেলেঙ্গানাতেও। যদিও শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
সম্প্রতি চিনে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভারত-সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে। যদিও চিন জানিয়েছে, এটি একটি মরসুমি সংক্রমণ। এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতও। তবে দেশবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একই সঙ্গে এই ভাইরাসের বিষয়ে সময়ে সময়ে তথ্য দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কেও অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Be the first to comment