‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োগের প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশে। তাণ্ডব চলছে বিহার, তেলেঙ্গানায়। বাদ যায়নি বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশও। ইতিমধ্যেই রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে ৭০০ কোটিরও বেশি। এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিরোধীরাও। কংগ্রেসের আবেদন, এই প্রকল্প প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্র।
রবিবার থেকে যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছে তারা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীরও। কিন্তু মা সোনিয়া গান্ধীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন।রবিবারই জন্মদিন রাহুলের। কিন্তু আগে থেকেই তিনি দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর জন্মদিনের কোনও উদযাপন যেন না হয়। ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে প্রতিবাদেই বরং ফোকাস থাকুক দলের। এদিন যন্তর মন্তরে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে দিগ্বিজয় সিং, সলমন খুরশিদ, জয়রাম রমেশ, রাজীব শুক্লার মতো প্রথম সারির নেতাদের।
এর আগে শনিবার দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আন্দোলনকারীদের কাছে আরজি জানিয়েছিলেন, যেন শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাহুল আবার আরও খানিকটা সুর চড়িয়ে বলে দিয়েছেন, কেন্দ্র যেমন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল, তেমনি এটাই প্রত্যাহার করতে হবে।
রাহুলের বক্তব্য,”৮ বছর ধরে লাগাতার বিজেপি সরকার জয় জওয়ান, জয় কিষান আদর্শের অপমান করে চলেছে। আমি আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক তেমনই ওকে ‘মাফিবীর’ হয়ে দেশের যুবকদের কথা শুনতে হবে। আর অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে।”
তবে শনিবার পর্যন্ত কংগ্রেসকে সেভাবে পথে নামতে দেখা যায়নি। কিন্তু আজ, রবিবার যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহের মাধ্যমে কেন্দ্রকে চাপে রাখার প্রয়াস শুরু করল শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।
এদিকে রবিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনার তিন বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেই বৈঠকে অগ্নিপথ প্রকল্পটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
Be the first to comment