‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলাতেও। শুক্রবার সকাল থেকে ঠাকুরনগর, ভাটপাড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। একাধিক স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। অফিসটাইমে এই বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির স্বীকার নিত্যযাত্রীরা। একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরিকল্পনা ‘অগ্নিপথ’-এর কথা ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করার স্বপ্ন দেখা বহু মানুষ। কারণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অগ্নিপথে’র মাধ্যমে প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগে চার বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে। নিয়োগ করা হবে ৪৫ হাজার তরুণকে, যাদের বয়স ১৭ বছর ৫ মাস থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।
চার বছর হওয়ার পর সব বিভাগের ১০০ শতাংশ সেনার চাকরি চলে যাবে। তারপর তাদের মধ্যে থেকে পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্য ২৫ শতাংশ সেনাকে পুনরায় নিযুক্ত করবে সরকার। যাঁদের চাকরি থাকবে না, তাঁদের এককালীন ১১ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে, জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের মাসিক পেনশন দেওয়া হবে না।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন জায়গার সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে ঠাকুরনগর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যুবকেরা। রেল লাইনে ডন বৈঠক দিতে দেখা যায়। যার জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঠাকুরবাড়িতে যান বিক্ষোভকারীরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান।
এদিকে একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। এছাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় সড়ক আটকে চলে বিক্ষোভ। জ্বালানো হয় টায়ার। হাওড়া ব্রিজে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। শুধু বাংলা নয়, দেশ জুড়ে জারি অশান্তির পরিবেশ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে জম্বু তাওয়াই এক্সপ্রেস, বিহারের লখিসরাই স্টেশনেও ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ।
Be the first to comment