অগ্নিপথ বিতর্ক নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ওই প্রকল্প নিয়ে নানা ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে বলেই দাবি করেছে কেন্দ্র। ভুয়ো খবর রটাচ্ছে এমন ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে ব্যান করল সরকার। এর আগেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলিকে দোষারোপ করেছে সেনাবাহিনী। তাঁদের বক্তব্য, ওই কোচিং সেন্টারগুলিই পড়ুয়াদের উসকে দিয়েছে। সরকারের দাবি, বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্নভাবে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। যার ফলে যুব সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তাদের কঠোর হাতে দমন করতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
সেনাবাহিনীতে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। বিহার থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এমনকি বাংলাতেও সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেনও। লখিসরাই এবং সেকেন্দ্রাবাদে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বিক্ষোভের জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল পরিষেবা। ভাঙচুর করা হয়েছে সড়কপথেও।
যুবকদের এই বিক্ষোভের পর অগ্নিপথ প্রকল্পে একাধিক বদলও এনেছে কেন্দ্র। আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ২৩ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিস বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তারপরও অগ্নিপথ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে এমন সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদিকে সমস্ত বিতর্কের মধ্যেই অগ্নিপথ নিয়ে পিছু হটেনি কেন্দ্র। রবিবার প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জুলাই থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ শুরু হবে। সেই জন্য জুন মাসের শেষ থেকেই পৃথক ভাবে বিজ্ঞপ্তি দেবে জল-স্থল ও বায়ুসেনা। ২৪ জুন বায়ুসেনা, ২৫ জুন নৌসেনা এবং ১ জুলাই স্থলসেনা বিজ্ঞপ্তি বের করবে। আপাতত ২টি ব্যাচে অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। প্রথম ব্যাচে ২৫ হাজার অগ্নিবীর নেওয়া হবে।
Be the first to comment