বিরোধিতা যে প্রথমদিন থেকেই আসবে, তা খুব ভালোভাবেই জানেন। সেই পরিস্থিতিতে বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘স্বাস্থ্যকর’ এবং ‘কার্যকরী’ আলোচনার জন্য তৈরি আছে সরকার। সেইসঙ্গে সাংসদদের শিষ্টাচারের পাঠও দিলেন।
সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, নিয়ম মেনে যাবতীয় আলোচনার বার্তা দিয়েছেন মোদী। পরে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, মোদী সমস্ত সাংসদদের বলেছেন যে ভারতের ‘স্বাস্থ্যকর’ গণতন্ত্রের ঐতিহ্য মেনে মানুষের সমস্ত বিষয় উত্থাপন করতে হবে। বজায় রাখতে হবে শিষ্টাচার। সরকার পক্ষকেও সেই বিষয়ে জবাব দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
মোদী জানান, সংসদের অধিবেশন চলার যে পরিস্থিতির পরিবেশ প্রয়োজন আছে, তা বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের। কারণ মানুষের প্রতিনিধি সাংসদরা তৃণমূলস্তরের প্রকৃত অবস্থা জানেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশগ্রহণ করা উচিত। যা সেই সিদ্ধান্তকে আরও ভালো করে তুলবে। সেজন্য সকল সাংসদকে সহযোগিতা করারও আর্জি জানিয়েছেন মোদী। সঙ্গে আশাপ্রকাশ করেছেন যে সংসদের অধিবেশন ভালোভাবেই চলবে।
সাংসদের শিষ্টাচারের পাঠ পড়ানোর মধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে একটি যৌথ ভাষণের প্রস্তাব দেয় মোদী সরকার। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী জানান, আগামী মঙ্গলবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে করোনা নিয়ে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিরোধীরা। তাঁরা দাবি করেন, নিজেদের মুখ বাঁচানোর জন্য সংসদীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোর পন্থা বের করছে মোদী সরকার। সূত্রের খবর, বিরোধীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে সেন্ট্রাল হলে লোকসভা এং রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশনের আয়োজন করা হোক।
রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, ‘সংসদ শুরু হবে। সংসদের কক্ষে আসুন।’ একইসুরে সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুর বলেন, ‘এরকম কাজ করা সরকারের পক্ষে একেবারেই বেমানান। সংসদের অধিবেশন চলার সময় সরকার যদি কোনও ভাষণ দিতে চায় বা কিছু পেশ করতে চায়, তাহলে তা সংসদের ভিতরে করতে হবে।’
Be the first to comment