সোমবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন ৷ সেদিনই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৷ তার আগে রবিবার সব দলকে নিয়ে বৈঠকে বসলো সরকার ৷ এদিন সকাল ১১টায় সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে বসে বৈঠক ৷ সরকারের তরফে বৈঠকে যোগ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ৷ শনিবার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা বৈঠকে যোগ না দিলেও এদিন তৃণমূলের তরফে সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ, মল্লিকার্জুন খাড়গে উপস্থিত হয়েছেন ৷
সংসদে অধিবেশন শুরুর একদিন আগে সর্বদল বৈঠক ডাকে সরকার৷ প্রথামাফিক ওই বৈঠকে সব বিরোধী দলই যোগ দেয় ৷ সংসদের কাজকর্ম স্বাভাবিক এবং সচল রাখতে বিরোধীদের সহযোগিতা চায় সরকার৷ যদিও প্রতিবার বিরোধীদের চিৎকার-চেঁচামেচি, হইহট্টগোলে ভণ্ডুল হয়ে যায় অধিবেশন৷ সভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় বিরোধীদের ৷ তাদের লাগাতার ধর্না, বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই শেষ হয়েছে এর আগের অধিবেশনগুলি ৷
যদিও অধিবেশন পণ্ডের জন্য মোদি সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, সংসদের ভিতর বিরোধীদের যথেষ্ট কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় না ৷ আলোচনা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়৷ বিরোধীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না ৷
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, বেকারত্ব, অগ্নিপথ প্রকল্প, গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়ে প্রথমদিন থেকেই সংসদে সরকারকে চেপে ধরার কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস ৷ দলের রাজ্যসভার এক সাংসদ জানিয়েছেন, ‘আমরা দুই কক্ষে এই ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের দাবি জানাব ৷’ আগামিকাল থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশন চলবে ১২ অগস্ট পর্যন্ত ৷ এবারের অধিবেশনে সরকার ২৪টি বিল পেশ করতে চলেছে৷ যার অন্যতম ক্যান্টনমেন্ট বিল এবং মাল্টিস্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি বিল৷ ওই ২৪টি বিল ছাড়া সংসদের দুই কক্ষে ৮টি বিল স্থগিত হয়ে রয়েছে ৷ এই বাদল অধিবেশনেই দেশের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ৷
Be the first to comment