গোসাবায় নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন অমিত শাহ ৷ তাঁর মুখে আবারও উঠে এল ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির কথা। তিনি বলেন, মোদীজির লক্ষ্য আপনাদের বিকাশ করা ৷ আর মমতা দিদির লক্ষ্য হল ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ৷ তাই ২ মে তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরাতে হবে ৷’’ সেইসঙ্গে সুন্দরবন, গঙ্গাসাগরের উন্নয়নে জন্য গোসাবার জনসভা থেকে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন শাহ ৷
কথায় আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার ৷ সভার শুরুতেই অমিতের গলায় শোনা গেল এই বিখ্যাত লাইন ৷ তারপরেই ২৩ মার্চ শহিদ দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলার ভূমিপুত্রদের কথা স্মরণ করে আজকের বাংলার পরিস্থিতিকে তুলে ধরলেন তিনি ৷ বললেন, “বাংলার এই ভূমি স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে ৷ সুভাষচন্দ্র বোস, ক্ষুদিরাম বসু দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন ৷ কিন্তু, এখন বাংলায় শুধু তোলাবাজি, ভ্রষ্টাচার হচ্ছে ৷”
বিজেপি ক্ষমতায় এলে উন্নয়নে যে কোনও কমতি হবে না তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ ৷ নির্বাচনী ইস্তাহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি, আজ ফের সেই প্রতিশ্রুতি শোনা গেল শাহের গলায় ৷ ওই বঙ্গভূমিতে তোলাবাজি, ভ্রষ্টাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ পানীয় জল থেকে শুরু করে টুরিস্ট-সহ একাধিক বিষয়ে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন শাহ ৷ বললেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল আসবে ৷ এলাকায় তৈরি হবে সেতু । এইমস হবে ৷ সুন্দরবনের মানুষকে যাতে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য আসতে না হয় ৷” পাশাপাশি, ক্ষমতায় এলে একবছরের মধ্যে সুন্দরবনকে জেলা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও শোনা গেল তাঁর মুখে ৷
আমফান প্রসঙ্গ শাহ বলেন, “মোদি সরকার আমফানে ১০ হাজার কোটি পাঠিয়েছিল ৷ কিন্তু সেই টাকা কোথায় গিয়েছে ৷ ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি সব টাকা চুরি করেছে ৷ সিট গঠন করে সব টাকা বের করা হবে ৷ ” তিনি আরও জানান, সিএএ চালু করে, সব শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর বার্তা, ২ মে তৃণমূলকে সরাতে হবে ৷ কারণ মমতা দিদি শুধু ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান আর মোদিজির লক্ষ্য, বাংলার উন্নয়ন ৷
Be the first to comment