বাংলায় এখনই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই।’ দাবি তুলল বিজেপি। ইতিমধ্যেই হিংসার ঘটনার কথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখুনি। সেটা ৩৫৫ হতে পারে , ৩৫৬ হতে পারে । কোনটা হবে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছি।” এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ৩৫৫ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে, কেন্দ্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নিজের হাতে নেবে। আর ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাজ্য প্রশাসন চালাতে অক্ষম হলে, পুরো প্রশাসনিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে চলে যায়। রাজ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি দিয়েছেন সুকান্ত।
সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচন-সন্ত্রাসের খবর সামনে আসতে থাকে। বোমাবাজি, গুলিচালনা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বুথের ভিতরেই বোমাবাজি, একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রথমার্ধের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে। বেলা যত বাড়তে থাকে, পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এমন একটা সময় আছে, কয়েক মিনিটের ব্যবধানেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুনের খবর আসতে আসে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য়ে ভোটের এক দিনের মৃতের সংখ্যা ১৭। যদিও কমিশন বলছে, খাতায় কলমে মৃতের সংখ্যা ৩।
রাজ্যের ছ’জেলায় হিংসার জেরে প্রাণহানির অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিনে এত হিংসার দায়িত্ব কিন্তু কমিশনার শেষমেশ ঠেলেছেল রাজ্য পুলিশের ঘাড়েই। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখবার বিষয়টা পুলিশেরই দায়িত্ব। কমিশনের দায়িত্ব ভোটের ব্যবস্থাপনা।
Be the first to comment