ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী একাধিক রাজ্যে মঙ্গলবার আছড়ে পড়তে পারে ‘তাউটে।’ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনাও জানা গিয়েছে। প্রবল ঝড়ে গোয়ায় উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ। এই পরিস্থিতিতে যেসব রাজ্যে তাউটে আছড়ে পড়বে, সে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সেই বৈঠকে ছিলেন গুজরাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও দমন-দিউ, দাদরার প্রশাসকরা। শনিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দেশে করাল থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। তার মধ্যেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়, স্বভাবতই পরিস্থিতি বিগত ঘূর্ণিঝড়গুলির থেকে আলাদা। তাই আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন।
মোট ১০০টি উদ্ধারকারী দল কাজ করছে কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায়। শনিবার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে যাতে করোনা টিকার কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। এ ছাড়াও করোনা আক্রান্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় নিজের শক্তি আরও বাড়াবে তাউটে, তারপরই ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক শক্তি সম্পর্কে আন্দাজ পাওয়া যাবে। এই ১২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
ইতিমধ্যেই তাউটের জেরে একাধিক রাজ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছে কেরলের বিস্তীর্ণ এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শনিবার রাতেই একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আরও ২৪ ঘন্টা বিপর্যস্ত হবে রাজ্য। কেরলে বর্তমানে ৭১ টি শিবির রয়েছে। সেখানে ৫৪৩ টি পরিবারের মোট ২০৯৪ জন থাকছেন। কর্ণাটক ও গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
Be the first to comment