অমিত শাহের সঙ্গে দেখা ধনখড়ের, বাংলার রাজ্যপাল পদ থেকে আজই ইস্তফার সম্ভাবনা

Spread the love

উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে শনিবারই জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড। আগামী ১৯ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিকে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে রয়েছেন৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তাঁকে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। জল্পনা চলছে, সম্ভবত রবিবারই তিনি রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ৷ এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন জগদীপ ধনখড় ৷ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আজই পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন তিনি ৷ 

এদিকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর আজ সকালে ধনখড় দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ৷ এর আগে শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল ৷ এদিকে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে শুভেচ্ছা জানান অমিত শাহ ৷ শনিবার উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জগদীপ ধনখড়কে তিনি ‘জনতার রাজ্যপাল’ বলে অভিহিত করেছিলেন ৷ অভিনন্দন জানিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলার রাজ্যপালকে ‘কৃষকপুত্র’ বলে সম্বোধন করেন ৷ রাজস্থানের কৃষক পরিবারের সন্তান জগদীপ ধনখড় ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হন। ২০১৯ সালে তাঁকে রাজ্যপাল করে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয় ৷

রাজ্যপাল হয়ে আসা ইস্তক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কখনওই মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি তাঁর ৷ তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বারবার নানা ইস্যুতে জগদীপ ধনখড় সংঘাতে জড়ান ৷ চরম অবনতি হয় রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কের ৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বহুবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন মমতা ৷ এমনকী বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয় ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, তিনি বিরোধী রাজনীতির শিবির খুলেছেন রাজভবনে ৷ তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় তাই কিছুটা স্বস্তিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে আমলারা ৷ 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*