দুর্ঘটনাস্থল টাউন্সভিল শহরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের চিকিৎসক না-থাকায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের অটোপ্সি রিপোর্ট হাতে এখনও হাতে এসে পৌঁছয়নি পরিবারের ৷ সূত্রের খবর তেমনটাই ৷ এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি প্রয়াত অজি ক্রিকেটারের প্রিয়জনদের ৷ দুই পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে দুর্ঘটনার দিন মধ্যরাতে গাড়ি চালিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার ৷
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে অজি ক্রিকেটারের বোন লুইস ডেইলি মেল-কে বলেছেন, “ভীষণই আতঙ্কের বিষয় ৷ তবে আমরা জানি না ওঁ সেদিন কোথায় যাচ্ছিল ৷” উল্লেখ্য ঘটনার পরদিন টাউন্সভিল শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়াত দাদার উদ্দেশে হাতে লেখা একটি চিঠি রেখে আসেন সাইমন্ডসের বোন ৷ যাতে লেখা ছিল, “বড্ড তাড়াতাড়ি বহুদূরে চলে গেলে ৷ শান্তিতে ঘুমোও অ্যান্ড্রু ৷ তোমার সঙ্গে যদি আরেকটা দিন কাটাতে পারতাম ৷ আরেকটা বার ফোনে তোমার গলা শুনতে পেতাম ৷ হৃদয় ভেঙে গিয়েছে আমার ৷ আজীবন তোমায় ভালবেসে যাব ৷”
অটোপ্সি রিপোর্ট বিলম্বিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার সাইমন্ডসের গাড়ি কীভাবে উলটে গেল, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিতে ব্যর্থ পুলিশ ৷ তবে মনে করা হচ্ছে রাস্তার কোনও পশুকে বাঁচাতে গিয়েই হয়তো দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়ে সাইমন্ডসকে ৷ এদিকে বাবার মৃত্যুর খবর এখনও স্তম্ভিত করে রেখেছে প্রয়াত ক্রিকেটারের দুই সন্তানকে ৷ পিতৃশোক কীভাবে কাটিয়ে উঠবে দু’জনে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্ত্রী লরা ৷
Be the first to comment