দুর্ঘটনার কবলে পড়লো বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-এর কনভয়। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা মারে তৃণমূল নেতার কনভয়। গুরুতর জখম হন মোট পাঁচজন। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা।
প্রসঙ্গত, বুধবার মঙ্গলকোটে দলীয় কর্মী অসীম দাসের খুনের ঘটনায় সেখানে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সেখান থেকে ফিরে আসেন বাড়িতে। অনুব্রতকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সিউড়ির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিল কনভয়টি। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। আহত হন অনুব্রতর সঙ্গে থাকা পাঁচ সঙ্গী। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িটিকেও উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ওই কনভয়ের সামনে একটি মোটর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। মোটর বাইকে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। মৃতের পরিবার অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই মৃত্যু হয়েছে অসীম দাস নামে ওই অঞ্চল সভাপতির। আগেও তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন অনুব্রত মঙ্গলকোটে মৃত নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “অসীমের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে আলাদা সম্পর্ক ছিল। ও একটা ভাল লোক ছিল। কে ওকে খুন করেছে তা জানার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে আগেই বলেছে পুলিশ। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কালকের মধ্যে জানিয়ে দেব কে খুন করেছে। বিজেপি হোক, বিজেপির বাইরে হোক, কেউ ছাড় পাবে না। সাজা পাইয়ে রেখে দেব। শেষ করে দেব একদম। আগেও বারণ করেছিলাম একবার। তারপরেও এই ঘটনা ঘটল। এ বার আমি দেখে নেব।”
যদিও, মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, অসীমবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলেরই ‘অন্য গোষ্ঠী’। সে প্রসঙ্গে, এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “পরিবারের লোকজনের তখন মাথা ঠিক ছিল না, তাই বলেছে। ওই পরিস্থিতিতে সেটাই স্বাভাবিক। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবেই।”
Be the first to comment