২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে একজোট হচ্ছে বিরোধী শিবির। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার পাটনায় ১৭টি দল যোগ দিয়েছিল বৈঠকে। তবে বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও বিরোধী নেতাদের সাংবাদিক বৈঠক এড়িয়ে গেলেন আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর কারণ অবশ্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে আনা কালো অর্ডিন্যান্স। বৈঠক শেষে আপের তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানানো হয়, ‘সমমনস্ক দলগুলির’ বৈঠকে বহু নেতাই অনুরোধ করেছিলেন, কংগ্রেস যেন সকলের সামনে এই ‘কালা কানুন’-র সমালোচনা করে। কিন্তু কোনও অনুরোধই কানে তোলেনি রাহুল গাঁধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গের দল।
বৃহস্পতিবারই হাত শিবিরকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন কেজরিওয়াল। জানিয়ে দেন, যদি কংগ্রেস ‘কালো অর্ডিন্যান্স’ ইস্যুতে সংসদে তাঁদের পাশে থাকার পরামর্শ না দেন তাহলে তাঁরা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করবেন। তা অবশ্য করেনি আম আদমি পার্টি। বৈঠকে যোগ দিলেও কংগ্রেসের ভুমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন কেজরি। বৈঠক শেষেই সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আপ প্রধান। এরপরই আম আদমি পার্টির তরফে টুইট করে বলা হয়, “একটি জাতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস সমস্ত ইস্যুতে কোনও না কোনও পক্ষ নেয়। এবার ‘কালো’ অর্ডিন্যান্সে’ও তাদের পরিষ্কার করে দিতে হবে তাদের অবস্থান। কংগ্রেসের এই নীরবতা তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।”
কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে দেশের নানা রাজ্যে সফর করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে কংগ্রেস ছাড়া বাকি সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে কেজরিকে জানানো হয়েছে তারা রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করবে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, দিল্লিতে আমলাদের পোস্টিং ও বদলি করার সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি সরকারই। তার পালটা অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। এই অর্ডিন্যান্স জারির পরেই তীব্র বিরোধিতা করেন কেজরিওয়াল। বাংলা-সহ একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যে গিয়ে সমর্থন চান। কিন্তু এই প্রসঙ্গে এখনও কিছুই বলেনি কংগ্রেস।
Be the first to comment