গুরুদায়িত্ব অর্জুনের কাঁধে, সামলাতে হবে বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার দায়িত্ব

Spread the love

দলবদলের পরদিনই তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অর্জুন সিং। সেই বৈঠকেই তাঁর পরবর্তী দায়িত্বের কথা জানিয়ে দিল নেতৃত্ব। তৃণমূল বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। যদিও এখনও দলের তরফে সরকারিভাবে সেই দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। দ্রুতই সে বিষয়টিও সেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সৌগত রায়।

৩০ মে শ্যামনগরের অন্নপূর্ণা জুটমিল মাঠে বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার প্রস্তুতি সারতেই এদিন টিটাগড়ের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী সুজিত বসু. সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক-সহ সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতারা। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন সিংও।

বৈঠক শেষে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে অর্জুন সোজাসাপটা বলেন, “আগামী দিনে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ৯০ শতাংশ বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করবে।” বারাকপুরের ২১ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছিল বিজেপি। অর্জুনের ফুলবদলের পর সেই কমিটির ৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন বলে খবর। তাঁদের শিবিরও বদলও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। শারীরিক অসুস্থতার জেরে পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেননি অর্জুনপুত্র পবন সিং। সেরে উঠলেও তিনিও ঘরে ফিরবেন। বৈঠকের মধ্যে অর্জুন সিংকে গুরু দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে অর্জুনও সাফ জানিয়েছেন, “আর ঘরে বসে থাকবেন না। চাপমুক্ত হয়ে এবার মানুষে জন্য কাজ করার পালা।”

বৈঠক শেষে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি হিসেবে এদিন বৈঠক হয়েছে। বিধায়কদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।” আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অর্জুন সিংকে বনগাঁ অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান তিনি। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, শুধুমাত্র শিল্পাঞ্চল টিটাগড়- বারাকপুর নয়, মতুয়াগড় বনগাঁতেও ঘর ভাঙতে পারে বিজেপির। বকলমে সেই দায়িত্বই বর্তেছে সাংসদ অর্জুনের উপর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*